বিগত ২৭ বছর ধরে গুজরাটে টানা ক্ষমতায় থেকেছ বিজেপি। ১৯৯৫ সাল থেকে গুজরাটে টানা ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে এবারও জয়ী বিজেপি। আড়াই দশকেরও বেশি সময় পর আজও সেই রাজ্যে অব্যাহত মোদী ম্যাজিকই। তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে গুজরাটের ভোটবাক্সে। প্রাথমিক ট্রেন্ডে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে বিজেপি। শেষ পর্যন্ত কত ব্যবধানে বিজেপি জেতে সেটাই দেখার। গত একবছরে যেখানে প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১২ বার গুজরাটে গিয়েছেন, সেখানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ২০ বার গুজরাটে পা রেখেছেন সাম্প্রতিককালে। তবে রাহুল গান্ধী গুজরাটে গিয়েছেন মাত্র ৩ বার। এই আবহে মোদী ম্যাজিক যে গুজরাটে এখনও বজায় রয়েছে তা দেখা যাচ্ছে ফলাফলে।
মোদীর কণ্ঠে ‘২০০২’
নরেন্দ্র মোদী: ২০০২ সালের পর আমার ধজ্জিয়া ওড়ানো হয়েছিল। কেউ নিরপেক্ষ হয় না। অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। আজকে গুজরাটের ফলাফলের পর আরও সমালোচনা করা হবে বিজপির।
মোদীর কণ্ঠে চরৈবেতি মন্ত্র
কয়েকদিন আগে সুন্দরবন থেকে ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক ফেসবুক পেস্টে নিজের চরৈবেতি মন্ত্র বাতলে দিয়েছিলেন। আজ গুজরাট জয়ের পর মোদীর গলায় চরৈবেতি মন্ত্র। তিনি আজও কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র, আম আদমি পার্টির সমালোচনা করেন।
‘গুজরাটের ফলাফল প্রমাণ করেছে…’
নরেন্দ্র মোদী: গুজরাটের ফলাফল প্রমাণ করেছে যে উন্নত ভারতের জন্য সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা কতটা প্রবল। এই ফলাফলের স্পষ্ট বার্তা, দেশের সামনে যখনই কোনও চ্যালেঞ্জ আসে, লোকেরা বিজেপিকে বিশ্বাস করে।
আদিবাসী এলাকায় বিজেপির জয়জয়কার
নরেন্দ্র মোদী: আদিবাসী এলাকায় ৪০-এর মধ্য়ে ৩৪টি আসন জিতেছে বিজেপি। আজ আদিবাসীরা বিজেপির ওপর ভরসা করে। কারণ বিজেপি তাদের আকাঙ্খা পূরণ করেছে। আদিবাসী কল্যাণে বাজেট বাড়িয়েছে বিজেপি সরকার। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় উন্নয়ন করেছে সরকার।
‘ভারত প্রথম’
নরেন্দ্র মোদী: সমাজে বিভেদ তৈরি করে তৎকালীন লাভ তুলতে চাওয়া দলকে দেশের জনগণ চিনে গিয়েছে। লড়াই করার জন্য অনেক কারণ হতে পারে, কিন্তু জোটবদ্ধ হতে একটাই কারণ যথেষ্ঠ - এই দেশ, আমাদের মাতৃভূমি। বাঁচতে বা মরার ক্ষেত্রে এই দেশের থেকে বড় কারণ হতে পারে না। ‘ভারত প্রথম’ নীতি নিয়ে চলতে হবে আমাদের।
‘দেশ শর্টকাট চায় না’
নরেন্দ্র মোদী: দেশ শর্টকাট চায় না। দেশ জানে শর্টকাট রাজনীতির কত বড় দাম চুকোতে হতে হবে দেশকে। দেশ সমৃদ্ধ হলে সবাই সমৃদ্ধ হবে।
কোন কোন কারণে গুজরাটে রেকর্ড জয় পেল BJP?
১৫৫-রও বেশি আসনে জয় পেয়ে রেকর্ড জয় নিশ্চিত করেছে বিজেপি। ২৭ বছর ক্ষমতায় থাকার পর টানা সপ্তমবার গুজরাট জয় করল গেরুয়া শিবির। কিন্তু কোন অঙ্কে এই বিশাল জয় পেল বিজেপি? পড়ুন বিস্তারিত
গুজরাটে জমানত বাজেয়াপ্তের রেকর্ড গড়েই ‘বড় জয়’ AAP-এর
সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে শেষ পর্যন্ত ঝুলিতে এসেছে মাত্র পাঁচটি আসন। তবে তাতেই খুশি আম আদমি পার্টি। কারণ এই পাঁচ আসনের দৌলতেই এবার জাতীয় পার্টির তকমা পেতে চলেছে কেজরির আম আদমি পার্টি। গুজরাটে কংগ্রেসের ঘর ভাঙিয়ে অনেক ভোট পেলেও সেই অর্থে আসন পায়নি আম আদমি পার্টি। তবে তাতে তাদের মাথা ব্যথা নেই। বিস্তারিত পড়ুন
২০১৯-এর তুলনায় গুজরাটে ১০ শতাংশ কম ভোট পেয়েছে BJP
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটের ২৬টির সবকটি আসনেই জিতেছিল বিজেপি। সেই নির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৬২.২১ শতাংশ। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যাবতীয় রেকর্ড ভাঙা বিজেপি অবশ্য ২০১৯ সালের সেই ভোট শতাংশের কাছাকাছিও পৌঁছতে পারল না। বিস্তারিত পড়ুন
‘যুব সমাজ বিজেপির উন্নয়নের রাজনীতি পছন্দ করে’
নরেন্দ্র মোদী: যুব সমাজ বিজেপির উন্নয়নের রাজনীতি পছন্দ করে। ওরা পরীক্ষা করে, খতিয়ে দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়। প্রশ্ন করে। ওরা বিজেপিকেই দেখেছে। কংগ্রেসের কুশাসন দেখেনি। তাও তারা বিজেপির ওপরই ভরসা রেখেছে।
‘প্রতিটি পরিবারের সদস্য বিজেপি’
নরেন্দ্র মোদী: জাতি, বর্ণ, সম্প্রদায়, ধর্মের বিভেদ ভুলে মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে বিজেপিকে। বিজেপি সেই রাজ্যে প্রতিটি পরিবারের সদস্য।
‘গুজরাট ইতিহাস গড়েছে’
নরেন্দ্র মোদী: পরিবারবাদের বিরুদ্ধে মানুষের আক্রোশ বাড়ছে। গুজরাট চমৎকার করে দিয়েছে। সব বিজেপি কর্মীদের অভিনন্দন দিতে চাই। আমি গুজরাটেন জনগণকে প্রণাম করতে চাই। আমি বলেছিলাম, এবার যেন নরেন্দ্রের রেকর্ড ভাঙে। আর বলেছিলাম, ভূপেন্দ্র যাতে নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙে তার জন্য নরেন্দ্র জীবন দিয়ে কাজ করবে। গুজরাট ইতিহাস গড়েছে।
‘বিজেপির দম আছে’
নরেন্দ্র মোদী: বিজেপি যে সমর্থন পেয়েছে তা ভবিষ্যতের আকাঙ্খার প্রতীক। দলিত, পিছিয়ে পড়া ব্যক্তিদের শক্তিশালী করার জন্য বিজেপিকে সমর্থন করা হয়েছে। দেশের স্বার্থে বড় এবং কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার দম আছে বিজেপির।
বিজেপির সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী মোদী
গুজরাটে বিজেপির বিশাল জয় উদযাপন করতে দিল্লিতে দলের সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গুজরাটকে ধন্যবাদ জানালেন কেজরি
ভিডিয়ো বার্তায় আজ কেজরিওয়াল বলেন, ‘গুজরাটকে বিজেপির ঘাঁটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং আমরা সেই দুর্গ লঙ্ঘন করতে পেরেছি। মাত্র ১০ বছর আগে আমাদের দল গঠিত হয়েছিল এখন এরই মধ্যে দুই রাজ্যে সরকার গঠন করেছে। এবং আজ, এটি একটি জাতীয় দল হয়ে গিয়েছে। এটি একটি বিস্ময়কর অর্জন।’
ক্রেডিট আমার না: খড়গে
বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেন, ‘যা হয়ে গিয়েছে, ওটার ক্রেডিট তো আর আমার হতে পারে না। যারা জিতেছে তাদের অভিনন্দন, যারা হেরেছে, সেটা স্বীকার করতে হবে। আমাদের ভবিষ্যতে আরও লড়াই করে যেতে হবে। গণতন্ত্রে একদিনের হার-জিত চিরস্থায়ী হয় না। গণতন্ত্রে হার-জিত হয়। তবে নিজের নৈতিকতা তো ত্যাগ করব না আমরা। এটা আমাদের নীতির লড়াই। এতে হার-জিত হবে। আমরা সেটা খতিয়ে দেখে ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব। যেখানে খামতি রয়েছে, সেখানে ঠিক করব। এবং লড়াই জারি রাখব।’
আবেগতাড়িত মোদী
গুজরাটের জয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে লেখেন, ‘ধন্যবাদ গুজরাট। আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। জনগণ উন্নয়নের রাজনীতিকে আশীর্বাদ করেছে। এই উন্নয়নকে আরও গতিশীল করতে চায় বলে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে আম জনতা। আমি গুজরাটের জনশক্তিকে প্রণাম করি।’
সোমবার শপথগ্রহণ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর
গুজরাট বিজেপি প্রধান সিআর পাতিল জানান, আগামী ১২ ডিসেম্বর সোমবার গান্ধীনগরে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। এদিকে সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গোধরায় জয়ী বিজেপি
গোধরা থেকে ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী চন্দ্র সিং রাউলজি। বিলকিস বানোর ধর্ষণকারীদের মুক্তির পক্ষে যাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম চন্দ্র সিং রাউলজি। পরবর্তীতে বিলকিসের দোষীদের ‘সংস্কারি ব্রাহ্মণ’ বলেও সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন তিনি। বিস্তারিত পড়ুন
ভূপেন্দ্র প্যাটেল, সিআর পাতিলকে ফোন মোদীর
গুজরাট বিজেপি প্রধান সিআর পাতিল এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই জনকেই অভিনন্দ জানান মোদী।
বিজেপিতে এগিে মৌরবি
সেতু ভেঙে ১৪০ জনের মৃত্যু। তাও মৌরবিতে নিজেদের পায়ের তলায় জমি ধরে রাখল বিজেপি। মৌরবি থেকে এবার প্রাক্তন বিধায়ক কান্তিলাল আমরুতিয়াকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। বিস্তারিত পড়ুন
১৯৮৫ সালের রেকর্ড ভাঙার পথে BJP
১৯৮৫ সালে গুজরাটে মাধবসিংহ সোলাঙ্কির নেতৃত্বে কংগ্রেস ১৪৯টি আসনে জয় লাভ করেছিল। তবে এবার বিজেপি সেই রেকর্ডও ভেঙে দিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গুজরাটে ১৫০ ছুঁল বিজেপি
গুজরাটে ১৫০-র গণ্ডি পার করল বিজেপি। ১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৯২। এই আবহে গুজরাটের যাবতীয় রেকর্ড ভাঙতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপি ১৫০ ছুঁই ছুঁই
গুজরাটে আপাতত ১৪৭টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে ২৬টি আসনে। আম আদমি পার্টি এগিয়ে ৮টি আসনে।
সুরাটে বিজেপি এগিয়ে
সুরাট অঞ্চলে মোট ১৬টি আসনের মধ্যে ১৪টিতে এগিয়ে বিজেপি। ২টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস।
আমদাবাদ অঞ্চলে বিজেপির জয়জয়কার
আমদাবাদ অঞ্চলে বিজেপির জয়জয়কার। এই অঞ্চলের মোট ২১টি আসনের ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি। মাত্র একটিতে এগিয়ে কংগ্রেস।
পিছিয়ে জিগ্নেশ মেভানি
ভাদগাম থেকে পিছিয়ে রয়েছেন জিগ্নেশ মেভানি। এবারে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছিলেন তিনি।
এগিয়ে গিয়েছেন রিভাবা
জামনগরের চতুর্থ রাউন্ডের গণনার পর এগিয়ে গিয়েছেন জাদেজা পত্নী রিভাবা।
মৌরবিতে পিছিয়ে বিজেপি
মৌরবিতে পিছিয়ে পড়ল বিজেপি। কংগ্রেস এই কেন্দ্রে এগিয়ে। এই কেন্দ্রে প্রাক্তন বিধায়ক কান্তিলাল আমরুতিয়াকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি।
তৃতীয় স্থানে নেমে গেলেন জাদেজা
জামনগর উত্তরে তৃতীয় স্থানে রিভাবা জাদেজা। ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী ৩ বছর আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানকার বিদায়ী বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে বিজেপিকে বসিয়ে রেখে টিকিট দেওয়া হল জাদেজার স্ত্রীকে। মেকানিক্য়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী রিভাবা এর আগে রাজস্থানে কর্নি সেনার হয়ে কাজ করেছেন। তবে এই প্রথম সক্রিয় রাজনীতিতে পথ চলা শুরু হবে রিভাবার।
সৌরাষ্ট্রে লড়াই দিচ্ছে আপ
সৌরাষ্ট্রে বিজেপি ৩৪টি আসনে এগিয়ে। এই অঞ্চলে আম আদমি পার্টি ৬টি এবং কংগ্রেস ৭টি আসনে এগিয়ে।
বজায় রয়েছে মোজী ম্যাজিক
বিগত ২৭ বছর ধরে গুজরাটে টানা ক্ষমতায় থেকেছ বিজেপি। ১৯৯৫ সাল থেকে গুজরাটে টানা ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ২০১৭ সালে অবশ্য খুব সংখ্যক আসনের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ২০১৭ সালে ৪৭ শতাংশ ভোট পেলেও বিজেপির আসন সংখ্যা ছিল ৯৯। কংগ্রেস সেখানে জিতেছিল ৭৭টি আসন। তবে এবারের নির্বাচনে আম আদমি পার্টি যেভাবে ঝাঁপিয়েছে, তাতে ত্রিমুখী লড়াইয়ে আখেড়ে লাভ হচ্ছে বিজেপিরই।
এগিয়ে গেলেন হার্দিক
প্রথমে পিছিয়ে পড়েও আপাতত ৬ হাজার ভোটে এগিয়ে গেলেন হার্দিক প্যাটেল।
পিছিয়ে হার্দিক প্যাটেল
পাতিদার আন্দোলনের ‘মুখ’ হার্দিক প্যাটেল বিগত দিনে কংগ্রেসে ছিলেন। তবে নির্বাচনের আগে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বীরাগ্রাম আসন থেকে লড়ছেন। এই আসনে তিনি কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছেন। প্রাথমিক ট্রেন্ডে তিনি পিছিয়ে পড়েছেন।
এগিয়ে ভূপেন্দ্র প্যাটেল
বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল লড়ছেন ঘাটলোদিয়া আসন থেকে লড়ছেন। আমদামাদ অঞ্চলের এই আসন থেকে এগিয়ে তিনি। গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিকে গতবছরই সরিয়ে দিয়ে ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল বিজেপি। তবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কয়েকদিন পরপরই চাপে পড়েন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। তবে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী রেখে নির্বাচনে নামে লড়াই।
১১৮টি আসনে এগিয়ে বিজেপি
প্রাথমিক ট্রেন্ডে বিজেপি ১১৮টি আসনে এগিয়ে গেলেন। সৌরাষ্ট্রে বিজেপি ২৬টি এবং কংগ্রেস ১৬টি আসনে এগিয়ে। আমদাবাদ এলাকায় বিজেপি এগিয়ে ১৭টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে মাত্র ৪টি আসনে। মেহসানা অঞ্চলে বিজেপি এগিয়ে ১১টি আসনে।
প্রথম ওভারে ম্যাজিক ফিগার পার বিজেপির
পোস্টাল ব্যালটের গণনার নিরিখে বিজেপি ম্যাজিক ফিগার পার করে গিয়েছে। এদিকে কংগ্রেস ৪০-এর গণ্ডি পার করেছে। আম আদমি পার্টি অবশ্য সিঙ্গল ডিজিটে আটকে।
পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে বিজেপি
পোস্টাল ব্যালটে আপাতত ৩০টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে ৮টি আসনে। তৃতীয় স্থানে ৩টি আসনে এদিয়ে আম আদমি পার্টি।
প্রথম বলেই খাতা খুলল বিজেপির
ভোটগণনা শুরু হতেই দু'টি আসনে এগিয়ে গেল বিজেপি। কংগ্রেস আপাতত এগিয়ে একটি আসনে।
পাতিদার ফ্যাক্টর
কচ্ছ-সৌরাষ্ট্রে পাতিদার ভোটাররা বেশ প্রভাব ফেলে। গতবার পাতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল ছিলেন কংগ্রেসে। তবে এবার তিনি দল বদলে বিজেপিতে। এদিকে আম আদমি পার্টিও পাতিদার ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করেছে প্রচারে। অপরদিকে দক্ষিণ গুজরাটের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ভালো ফল করার আশায় কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, পতিদার সম্প্রদায়ের আন্দোলনের বিরাট প্রভাব দেখা গিয়েছিল গত বিধানসভা নির্বাচনে। সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন হার্দিক প্যাটেল। পরে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তবে কয়েকমাস আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন হার্দিক। গুজরাতে প্রায় ৪০টি এমন আসন রয়েছে, যেখানে পতিদার ভোটাররা একটি নির্ধারক ভূমিকা পালন করেন। প্যাটেল সম্প্রদায় গুজরাতের জনসংখ্যার প্রায় ১৮ শতাংশ।
বুথফেরত সমীক্ষা
এবিপি নিউজ ও সি ভোটার বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি ১২৮ থেকে ১৪০ টি আসনে জিততে পারে। নিউজ২৪ এবং টুডে'স চাণক্যের বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৫০ টি আসন পেতে পারে বিজেপি। ইন্ডিয়া টু'ডে+অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি জিততে পারে ১২৯ থেকে ১৫১ টি আসন। টাইমস নাও-ইটিজি বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, গুজরাটে ১৩১ টি আসনে জিততে পারে বিজেপি। টিভি৯ ভারতবর্ষের বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, গুজরাটে ১২৫ থেকে ১৩০ টি আসনে জিততে পারে বিজেপি।
গতবারের নির্বাচনের ফল
২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপি ৯৯টি এবং কংগ্রেস ৭৭টি আসন জিতেছিল। দু'টি আসন জিতেছিল বিটিপি, একটি এনসিপি এবং তিনটি জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থীরা। তবে গত পাঁচ বছরে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী ২০ জন বিধায়ক বিজেপিতে চলে যাওয়ার পরে বিধানসভায় বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০ এবং কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৬০-এর নীচে নেমে যায়।
গুজরাটের ম্যাজিক ফিগার
মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, আম আদমি পার্টির (এএপি) মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইসুদান গাধভি, যুব নেতা হার্দিক প্যাটেল, অল্পেশ ঠাকুর, জিগনেশ মেভানি সহ মোট ১৬২১ জন প্রার্থীর ভাগ্যনির্ধারণ হবে বৃহস্পতিবার। উল্লেখ্য, গুজরাটের ১৮২ টি আসনের নির্বাচনে ৯২ সংখ্যাটি হল ম্যাজিক ফিগার।
গুজরাটে ৬৬.৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে এবার
গুজরাটে গত ১ এবং ৫ ডিসেম্বরে দুই দফায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৷ ভোটারের উপস্থিতির হার ছিল ৬৬.৩১ শতাংশ, যা ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে কম (২০১৭ সালে ভোটারদের উপস্থিতির হার ছিল ৭১.২৮ শতাংশ)৷
টানা সপ্তমবার গুজরাটে জিতবে বিজেপি?
গুজরাটের ৩৩ জোলায় ৩৭টি গণনাকেন্দ্রে চলবে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা। এই রাজ্যে টানা সপ্তমবার ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। এদিকে কংগ্রেস নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াইতে নেমেছে গান্ধীর স্মৃতি আঁকড়ে। ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ আম আদমি পার্টি নিজেদের উপস্থিতির জানান দিতে চায় গুজরাটে।