অমিত কাউপার
গুজরাটে পাহাড়প্রমাণ জয় বিজেপির। উল্লাসে মেতেছেন বিজেপি কর্মীরা। তবে তার মাঝেই রয়েছে কিছু মন খারাপের কথা। একাধিক বিধায়ক এবার হেরে গিয়েছেন গুজরাটে। পোরবন্দরে বিজেপি বিধায়ক বাবুভাই বোখিরিয়া কংগ্রেসের অর্জুন মোধাদিয়ার কাছে পরাজিত হয়েছেন।কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ৮১, ৩৯৫ ভোট। বোখিরিয়া পেয়েছেন ৭৩,৩৮৮ ভোট। বোখিরিয়া ছিলেন গুজরাট সরকারের মন্ত্রিসভার একজন সদস্য।
ভাগোদিয়া আসনেও বড় বিপর্যয় বিজেপির। এই আসনে বিজেপির প্রাক্তন অশ্বীন পটেল পরাজিত হয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র সিং বাঘেলার কাছে। তিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন।
ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ছোটুভাই ভাসাভা হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী ঋতেশ ভাসাভাকে।
এমনকী তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিরোধী দল নেতাও হেরে গিয়েছেন এবার।আমরেলি আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী কৌশিক বেকারিয়া প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা পরেশ ধানানিকে ৪৭০০০ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন।
আপেরও বড় বিপর্যয় গুজরাটে। আপের প্রেসিডেন্ট গোপাল ইতালিয়া, ইসুদান গাধাভি,সাগর রাভারি, ভাসরাম সাগাথিয়া বিজেপির প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন।
বিজেপির সিটিং এমএলএ রমেন প্যাটেল উত্তর গুজরাটে বিজাপুর আসন থেকে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি কংগ্রেসের সিজে চাভদার কাছে পরাজিত হয়েছেন। এদিকে এবারের ভোটের চর্চার অন্যতম কেন্দ্রে ছিলেন অল্পেশ ঠাকুর। তিনি গান্ধীনগর দক্ষিণ আসন থেকে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি কংগ্রস প্রার্থী হিমাংশু পটেলকে পরাজিত করেছেন।
আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবার মৌরবির দিকে তাকিয়ে ছিলেন গোটা দেশবাসী। সেখানে ভোটের আগে সেতু দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ১৩৫জন। সেখানে বিরাট মার্জিনে জয় পেয়েছে বিজেপি। সেখানে উদ্ধারকারী টিমের অন্যতম সদস্য কান্তিভাই আমরুতিয়া দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির টিকিটে। তিনি বিপুল ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছেন।