সপ্তর্ষি দাস
গত ১ ডিসেম্বর সম্পন্ন হয়েছে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট পর্ব। সেই দিন গুজরাটে ভোটারদের উপস্থিতির হার কম থাকার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তিনি জানান, গুজরাটের একাধিক জায়গায় ভোটারদের উপস্থিতির হার অনেকটা বেড়ে গেলও, শহুরে এলাকা নিরাশাজনক পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে।
রাজীব কুমার এই গোটা বিষয়টিতে 'শহুরে উদাসীনতা'কে দায়ী করেছেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আর্জি জানান যাতে আরও বেশি সংখ্য়ায় ভোটাররা গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় এগিয়ে আসেন ভোট দিতে। তিনি বলেন নির্বাচন কমিশনের তরফে তিনি সকলকে এই বিষয়ে অনুরোধ করছেন, যাতে তাঁরা জনতা আরও বেশি সংখ্যায় ভোটদান করে। উল্লেখ্য, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে পরবর্তী ভোটগ্রহণ পর্ব ৫ ডিসেম্বর। রাজীব কুমার বলেন, '২০১৭ সালের পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে দ্বিতীয় পর্বের ভোট গ্রহণের দিন।' নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, গুজরাটের সুরাট, রাজকোট, জামনগরে রেকর্ড সংখ্যক কম ভোট পড়েছে নির্বাচনে। যার গড় ৬৩.৩ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, কচ্ছের গান্ধীধাম বিধানসভা কেন্দ্রে রেকর্ড পতন হয়েছে ভোটারদের উপস্থিতির। ভোট শতাংশ সেখানে ২০১৭ সালের থেকে ৬.৩৪ শতাংশ কমে গিয়েছে। রাজকোটে ভোট শতাংশের পতন হয়েছে ১০.৫৬। এছাড়াও সুরাটের কারাঞ্জেও ২০১৭ সালের থেকে ৫.৩৭ শতাংশ কম ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। কমিশন বলছে, গুজরাটের প্রথম দফার ভোটে ২৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ৬৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে, আর এই সমস্ত কেন্দ্রগুলিই গ্রামীন। এদিকে, এমনও বিধানসভা দেখা গিয়েছে, যেখানে গড় ভোটদান শতাংশ ৬৫র অঙ্কও ছোঁয়েনি। যার বেশিরভাগই শহুরে এলাকা। উল্লেখ্য, হাইভোল্টেজ গুডরাট বিধানসভায় ১৯ জেলার ৮৯ টি আসনে ভোট হয়েছে। কমিশন ভোটদান নিয়ে আরও সচেতনতা গড়ে তোলার বার্তা দিয়েছে।