হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ফের একবার পালাবদলের ঘরানা ফুটে উঠল বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে। বিজেপির জয়রাম ঠাকুর সরকারের পতন কার্যত ঘোষিত। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের জয়ের নিনাদ ধ্বনিত হতেই ইস্তফা পত্র পেশ করেছেন জয়রাম ঠাকুর। কংগ্রেসের এই জয়ের পর রাহুল গান্ধী তাঁর 'ভারত জোড়ো যাত্রা 'র মধ্যে থেকেই জানিয়েছেন শুভেচ্ছা বার্তা।
এক টুইটে উচ্ছ্বসিত রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘ হিমাচল প্রদেশের জনতাকে এই জয়ের জন্য মন থেকে ধন্যবাদ। সমস্ত কংগ্রেস কর্মী ও নেতাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনাদের পরিশ্রম ও সমর্পণ এই জয়ের আসল দাবিদার। ফের আস্বস্ত করছি জনতাকে করা সমস্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে খুব শিগগির।’
প্রসঙ্গত, দিন গড়াতেই কার্যত ম্যাজিক ফিগারের দিকে হিমাচল প্রদেশে এগিয়ে যেতে থাকে কংগ্রেস ক্যাম্প। এক্সিট পোল যেখানে এই ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল, সেখানে সকালের দিকে সেই ভোট গণনার সময় সেই লড়াই দেখা গেলেও, দিন গড়াতেই বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে থাকে কংগ্রেস। ৬৮ আসনের হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৩৯ টি দখলে রাখে। আর বিজেপি এগিয়ে থাকে ২৬ টিতে। প্রসঙ্গত ভোটগণনার আগের রাতেই কংগ্রেস থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে ৩০ জন কর্মীকে। তারপর দিন এই জয়ের পরই ফের একবার ঘোড়া কেনাবেচার প্রসঙ্গ উঠতে থাকে। কংগ্রেস সেই নিরিখে নিজের কৌশল ঠিক করে ফেলেছে। জানা যাচ্ছে বিজয়ী কংগ্রেস নেতাদের চণ্ডীগড়ে রাখার বন্দোবস্ত হচ্ছে। একাবারে শপথ গ্রহণের পরই তাঁরা রাজ্যে ফিরতে পারেন। এদিকে, হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর নতুন মুখ নিয়ে হাত শিবিরের হাইকমান্ডে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।