ভোট ব্যাঙ্কের জন্য় জঙ্গিবাদকে আড়াল করছে কিছু রাজনৈতিক দল। কর্ণাটকে ভোট প্রচারে এমনটাই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দাবি কংগ্রেস নেতৃত্বের। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের জেরে আমি আমার ঠাকুমা ও বাবাকে হারিয়েছি। এর প্রভাব কী হতে পারে সেটা আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীর তুলনায় বেশি জানি। তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ও ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
এদিকে এর আগে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ভোট ব্যাঙ্কের জন্য় জঙ্গিবাদকে আড়াল করছে কিছু রাজনৈতিক দল।। তারই জবাব দিলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের দাবি প্রধানমন্ত্রী সেদিন জানিয়েছিলেন, জঙ্গিবাদের এই প্রবণতার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের সঙ্গে পেছনের দরজা দিয়ে রাজনৈতিক বোঝাপড়া করা হচ্ছে। সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এমন জঙ্গিবাদের প্রবনতা রয়েছে এমন লোকজনের সঙ্গে কংগ্রেসের সংসর্গ রয়েছে।
এদিকে এই মন্তব্যের প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর হাই গ্রাউন্ড পুলিশ স্টেশনে শনিবার অভিযোগ দায়ের করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
রাহুল গান্ধী একটি সভায় জানিয়েছেন, বিজেপি সরকারের ৪০ শতাংশ কমিশন নিয়ে তিনি কিছুই বলতে পারছেন না। সেকারণে এখন এখানে এসে সন্ত্রাসবাদের কথা বলছেন।
আসলে সেই ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে বেলাগাভির এক ঠিকাদার সন্তোষ পাতিলের মৃত্যু হয়েছিল। তারপরই ৪০ শতাংশ কমিশন নিয়ে কথা ওঠে। সেই প্রসঙ্গ ফের তুললেন রাহুল গান্ধী।
গত মাসেও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কর্ণাটকের বাসবরাজ বোম্মাই সরকারকে ৪০ শতাংশ সরকার বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন এই সরকার মারাত্মক দুর্নীতিগ্রস্ত। তবে তার উত্তরে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পালটা জবাব দিয়েছেন। তিনি পালটা জানিয়েছেন, ৪০ শতাংশ কমিশনের চার্জশিট তো তার উপরেই রয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার কর্ণাটকে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বিরোধীদের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। আগামী ১০ মে ভোট কর্ণাটকে । তার আগে জমে উঠেছে বাগযুদ্ধ।