অনিরুদ্ধ ধর
রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা। কাশ্মীর থেকে কন্য়াকুমারী। সত্যিই কি এই যাত্রার কোনও সুফল মিলেছে? জয়রাম রমেশ এনিয়ে একটি রিপোর্ট কার্ড বের করেছেন। যেখানে তিনি দেখিয়েছেন এবার কর্ণাটকের এই জয়যাত্রার পেছনে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার বড় ভূমিকা রয়েছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এনিয়ে একটা তুলনামূলক সমীকরণ দেখিয়েছেন। সেই পদযাত্রায় দল যে ২০টি সংসদ এলাকার মধ্য়ে দিয়ে গিয়েছিল সেখানকার ভোটের হার কীভাবে বেড়েছে।
সেই তালিকা অনুসারে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস ২০টি আসনের মধ্য়ে ৫টি আসন পেয়েছিল ২০১৮ সালের ভোটে ২০২৩ সালে দেখা যাচ্ছে সেখানে একেবারে বাম্পার জয় পেয়েছে কংগ্রেস। বিকালবেলা পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল অন্তত ১৫টিতে এগিয়ে আছে কংগ্রেস। আর সেই ২০টি আসনের মধ্য়ে যেখানে বিজেপি আগে ৯টি আসন পেয়েছিল সেখানে মাত্র ২টিতে এগিয়ে আছে বলে দেখা যাচ্ছে।
আর জনতা দল(ইউনাইটেড) এর আগে ৬টি আসনে জয়লাভ করেছিল। বর্তমানে তারা তিনটি আসনে এগিয়ে রয়েছে বলে বিকালবেলা পর্যন্ত জানা গিয়েছিল।
জয়রাম রমেশ টুইট করে জানিয়েছেন, এবার কর্ণাটকে ভারত জোড়ো যাত্রার একেবারে প্রত্যক্ষ প্রভাব দেখা গিয়েছে। সেই প্রভাবটা হল পার্টিকে ঐক্য়বদ্ধ করা, ক্য়াডারদের চাঙা করা, কর্ণাটক ভোটের জমি প্রস্তুত করা। আর সেই ভারত জোড়ো যাত্রার সময়তেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একাধিক আলোচনার মাধ্যমে উঠে এসেছিল ইস্তেহারের বিষয়বস্তুগুলি। আর তারপরই তা চূড়ান্ত করা হয়।
গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা কর্ণাটকে এসেছিল। এই পদযাত্রা মাইসুরু, মান্ডিয়া, তুমকুর, চিত্রদুর্গ, বেল্লারি, রাইচুরের পথ ধরে এগিয়ে যায়। ২২ দিন ধরে ওই রাজ্য জুড়ে প্রায় ৫০০ কিমি পথ পেরিয়েছিল এই পদযাত্রা বেরিয়েছিল। তাতে কার্যত ব্যাপক সাড়া পড়ে কর্ণাটক জুড়ে। আর সেই ভারত জোড়োর ফসল যে ঘরে তুলতে পারল কংগ্রেস এদিন সেটাই আরও একবার দেখিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।