উপনির্বাচনের দিনও কমল না তৃণমূলের ঘরোয়া লড়াই। একেবারে ভোট কেন্দ্রের মধ্য়ে শুরু হয়ে গেল তৃণমূল বনাম তৃণমূলের লড়াই। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের কাউন্সিলর। আর ভোট দিয়ে বের হতেই ঝাঁপিয়ে পড়ল দলের অপর গোষ্ঠী। এমনকী ভোট কেন্দ্রের মধ্যেও কাউন্সিলরের স্বামীর সঙ্গে দলেরই পোলিং এজেন্টের ঝামেলা বেঁধে যায়।
এরপর তারা বাইরে আসতেই শুরু হয়ে যায় মারপিট। এমনকী দলের একাংশ দাবি করেন কাউন্সিলরের স্বামী মদ্যপ অবস্থায় ভোট দিতে এসেছিলেন।
মেদিনীপুর পুরসভায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাঁর স্বামীকে নিয়ে ভোট দিতে এসেছিলেন। সেই সময় বুথে তৃণমূলের যে এজেন্ট ছিলেন তার সঙ্গে কাউন্সিলরের স্বামীর কিছুটা কথা কাটাকাটি হয়। সূত্রের খবর, ওখানে দলের যে পোলিং এজেন্ট ছিলেন তিনি আগে বিজেপি করতেন বলে খবর। সে কথা উল্লেখ করে কাউন্সিলরের স্বামী বলেছিলেন, বলো কাকে ভোট দিই। এরপরই এনিয়ে বচসা শুরু হয়ে যায় বুথের মধ্য়ে। এরপর তিনি বাইরে বের হতেই শুরু হয়ে যায় মারপিট।
এদিকে দলের একাংশের দাবি গন্ডগোলের মধ্য়ে কাউন্সিলরের স্বামী প্রথমে হাত তোলেন। তারপর অন্যান্যরাও ঝাঁপিয়ে পড়ে। অশান্তির খবর আসতেই পুলিশ কাউন্সিলর ও তার স্বামীকে থানায় নিয়ে যান।
এদিকে ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তবে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এনিয়ে বিশেষ মুখ খুলতে চাননি। তবে মেদিনীপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নতুন কিছু নয়। কিন্তু এদিন একেবারে ভোটের দিনও শুরু হয়ে গেল তৃণমূল বনাম তৃণমূলের লড়াই।
অন্যদিকে এই মেদিনীপুরে তৃণমূল ও পুলিশ সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে দাবি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
শুভেন্দু সোশ্যাল মিডিয়া একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেন, মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া এলাকায় বিজেপি নেতা নয়ন দে-র বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ। তিনি বিজেপির মন্ডল কমিটির সম্পাদক। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত্রি বারোটা থেকে বুধবার সকাল ছটা পর্যন্ত নয়ন দের বাড়ি ঘেরাও করে রাখে গুড়গুড়িপাল থানার প্রায় ৪০ জন পুলিশকর্মী। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ ভোট প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য বিপজ্জনক কাণ্ডকারখানা করছে। মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া পঞ্চায়েতের বিজেপির কার্যকর্তা নয় দে-কে বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ভোটে যাতে বিজেপির কর্মকর্তা অংশ নিতে না পারেন, তার জন্য তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।'