উড়ুপিতে বিজেপির বিধায়ক ছিলেন রঘুপতি ভাট। তাঁকে সেখানের টিকিট না দিয়ে যশপাল সুবর্ণাকে বিজেপি উড়ুপির প্রার্থী হিসাবে বেছে নেয়। উড়ুপির যে কলেজে হিজাব ঘিরে বিতর্ক ছিল, সেই কলেজেরই ভাইস প্রিন্সিপাল যশপাল। যিনি ভোটে নিকটতম কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৩২,৭৭৬ ভোটে হারিয়েছেন।
1/7কর্ণাটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার নেপথ্যে যে বিজেপি নেতা তথা সেরাজ্যের মন্ত্রী তৎপর হয়েছিলেন সেই বিসি নাগেশ ২০২৩ কর্ণাটক বিধানসভা ভোটে হেরে গিয়েছেন। কর্ণাটকে হিজাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা উড়ুপিতে এলাকার বিধায়ককে সরিয়ে যশপাল সুবর্ণাকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। যিনি নিকটতম কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৩২ হাজারের কিছু বেশি ভোটে হারিয়েছেন। যদিও উড়ুপি ছিল বিজেপির পোক্ত জমি। তবে এই ফলাফলের পাশাপাশি রয়েছে দক্ষিণ কানাড়া ও উত্তর কানাড়ার ফলাফলও। যা ঘিরে বিজেপির মুসলিম নীতি কতটা ঠিক বা কতটা ভুল, তা নিয়ে প্রশ্ন, বিতর্ক, জল্পনা থেকেই যাচ্ছে। (Photo by Manjunath KIRAN / AFP) (AFP)
2/7কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিসি নাগেশ দাঁড়িয়েছিলেন টুমকুরের তিতপুর কেন্দ্র থেকে। তিনিই সেরাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা ও অর্থনৈতিকভাবে মুসলিমদের বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। তবে ২০২৩ বিধানসভা ভোটে তিনি হেরে যান। (Photo by Manjunath KIRAN / AFP) (AFP)
3/7উড়ুপিতে বিজেপির বিধায়ক ছিলেন রঘুপতি ভাট। তাঁকে সেখানের টিকিট না দিয়ে যশপাল সুবর্ণাকে বিজেপি উড়ুপির প্রার্থী হিসাবে বেছে নেয়। উড়ুপির যে কলেজে হিজাব ঘিরে বিতর্ক ছিল, সেই কলেজেরই ভাইস প্রিন্সিপাল যশপাল। যিনি ভোটে নিকটতম কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৩২,৭৭৬ ভোটে হারিয়েছেন। উল্লেখ্য, উড়ুপি সমেত একাধিক উপকূলবর্তী এলাকা কর্ণাটকে বিজেপির পোক্ত জমি। সেখানে ৫ টি আসনই দখলে রেখেছে বিজেপি। ফলে মেরুকরণের রাজনীতি বিজেপিকে আদৌ ঠকিয়েছে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক থাকছে। (Photo by Manjunath KIRAN / AFP) (AFP)
4/7কর্ণাটকের মুদাবিদরিতে হিন্দু মন্দিরের সামনে মুসলিমদের দোকান ঘিরে নিষেধাজ্ঞা এসেছিল। সেখান থেকে বিজেপি প্রার্থী উমানাথ কোতিয়ান ৩২ হাজার ভোটে কংগ্রেসের মিথুন রাইকে হারিয়েছেন। উড়ুপির বাকি তিন আসনেও ফলাফল গিয়েছে বিজেপির পক্ষে। (Photo by Manjunath KIRAN / AFP) (AFP)
5/7তবে চমক রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কানাড়ায়। দক্ষিণ কানাড়ায় ৮টিতে ৬ টি আসন জিতেছে বিজেপি। দক্ষিণ কানাড়া ও উড়ুপির তুলনায় কম মুসলিমের বাস উত্তর কানাড়ায়। উত্তর কানাড়ায় বিজেপি পেয়েছে ১ টি আসন। জেডিএস সেখানে ১ টি ও কংগ্রেস ৪ টি আসন পেয়েছে। (Photo by Manjunath KIRAN / AFP) (AFP)
6/7কোদাগুড়ু জেলায় টিপু সুলতানের মহিমাকে তুলে ধরে মুসলিম ভোট নিজের পক্ষে করার প্রয়াস নিয়েছিল বিজেপি। বিজেপির পোক্ত পিচে সেখানে দুটি আসনই খোয়ায় পদ্মশিবির। হেরে যান বিজেপির হেভিওয়েট নেতা কেজি বেপিয়াহ। উপকূলীয় কর্ণাটকের দিকে তাকালে দেখা যাবে ৩ জেলার ১৯ আসনে ২০ শতাংশ মুসলিম বসবাস রয়েছে। সেখানে ২০১৮ সালের তুলনায় কংগ্রেস ২ টি থেকে বেড়ে ৬ টু আসন পেয়েছে। বিজেপি ১২ টি। (Photo by Manjunath KIRAN / AFP) (AFP)
7/7উল্লেখ্য, ওল্ড মাইসুরু এলাকায় মুসলিমদের সংখ্যা বেশি। সেখানে জেডিএস ছিল পোক্ত দল। স্বভাবতই সেখানে বহু মুসলিম প্রার্থী দিয়েছে জেডিএস। যদিও কংগ্রেস সেখানে ভোটের নিরিখে বেশ পোক্ত জায়গায় রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেখানে অনেকেই মনে করেছিলেন জেডিএস পরে বিজেপির হাত ধরেত পারে। ফলে সেখানের ভোট পড়েছে কংগ্রেসের পক্ষে। এছাড়াও কর্ণাটকে লিঙ্গায়েত বাদে অহিন্দা ভোটব্যাঙ্কও মাইলেজ দিয়েছে কংগ্রেসকে। (PTI Photo/Kamal Kishore) (PTI05_12_2023_000104A) *** Local Caption *** (AFP)