বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > মোদী ম্যাজিকই কাজ করল উত্তরপূর্বে, চমকে দেওয়া ছবি ত্রিপুরা-নাগাল্য়ান্ডে

মোদী ম্যাজিকই কাজ করল উত্তরপূর্বে, চমকে দেওয়া ছবি ত্রিপুরা-নাগাল্য়ান্ডে

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জেপি নাড্ডা (PTI Photo/Vijay Verma)  (PTI)

এবার প্রশ্ন কে হবেন ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী? মানিক সাহাকে কি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করা হবে নাকি প্রতিমা ভৌমিক পরবর্তী ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রীর মুখ হিসাবে উঠে আসবেন? এনিয়ে এক বিজেপি নেতার দাবি, গোটা বিষয়টি দলের উপর মহল থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

স্মৃতি কাক রামচন্দ্রন

উত্তরপূর্বেও বিজেপির বিজয় রথ অব্য়াহত। এনিয়ে বিজেপি নেতাদের দাবি, বিজেপি আদিবাসীদের পরিচিতি মুছে দেবে, খাবার বন্ধ করে দেবে,সংখ্য়ালঘুদের বিরোধী এসব নিয়ে যারা ভয় দেখাত তাদের কাছে এই ভোট একটা জবাব। বিজেপির উন্নয়ন সংক্রান্ত উদ্যোগকে এই জয় আরও মজবুত করবে।

একসময়ের বাম দুর্গ ত্রিপুরায় ফের জয় পেল বিজেপি। নাগাল্য়ান্ডেও সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে চওড়া হাসি বিজেপির মুখে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন পরিকল্পনা মানুষের কাছে গিয়েছে। এই জয় তারই প্রমাণ। এটাই ফর্মুলা। তার মানে আমরা মানুষের আস্থা জিততে পেরেছি। সেকারণে আমরা জিতেছি।

নাগাল্যান্ড

মোদীই ছিলেন এই ভোটের মুখ। এখানকার ফ্রি রেশন পরিচিত ছিল মোদী রাইস হিসাবে। জল জীবন মিশন প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকাকে কভার করেছে। আর যে জল পাঠানো হত সেটাও মোদী জল বলে পরিচিত ছিল। আর তার প্রভাব পড়েছে ভোটে। 

গত কয়েক বছরে এলাকায় জঙ্গিবাদ কমেছে। তার প্রভাবও পড়েছে ভোট বাক্সে। এখানকার প্রায় ৮৭ শতাংশ খ্রীষ্টান। সেক্ষেত্রে মোদীর সভায় এক নাগা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের রেভারেন্ডের উপস্থিতি বিরোধীদের মুখের উপর জবাব দিয়েছিল। 

অন্যদিকে ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হলে আখেরে যে সুবিধা হবে বাসিন্দাদের সেটাও এলাকায় বোঝানো হয়েছিল। তার সুফলও মিলেছে হাতে নাতে।

ত্রিপুরা

২০২২ সালের জুলাই মাস। বদলে দেওয়া হয়েছিল ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রীকে। তাতে কি কিছুটা সুবিধা হল বিজেপির? নেতাদের দাবি, উন্নয়নের সুফল ঘরে তুলেছে বিজেপি।নীচুতলাতেও বিজেপি প্রতি মানুষের আস্থা ছিল। জঙ্গি গোষ্ঠীদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি, মাদক পাচার রোধ করা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির সুফলও পেয়েছে বিজেপি। এর সঙ্গে এবার লড়াইটা একেবারেই বাম কংগ্রেস বনাম বিজেপির লড়াইতে পরিণত হয়েছিল। যার জেরে একাধিক লড়াইয়ে দ্বিমুখী লড়াই হয়েছে। এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, মহিলাদের জন্য় ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ, স্থানীয় স্তরে ৫০ শতাংশ মহিলাদের জন্য় আসন সংরক্ষণ বিজেপিকে আরও সুবিধা করে দেয়। মহিলারা কার্যত হাত তুলে আশীর্বাদ করেন বিজেপির প্রার্থীদের। 

এদিকে এবার প্রশ্ন কে হবেন ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী? মানিক সাহাকে কি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করা হবে নাকি প্রতিমা ভৌমিক পরবর্তী ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রীর মুখ হিসাবে উঠে আসবেন? 

এনিয়ে এক বিজেপি নেতার দাবি, গোটা বিষয়টি দলের উপর মহল থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

বন্ধ করুন