আগামী ১৩ নভেম্বর নির্বাচন শুরু ঝাড়খণ্ডে। সেই আবহে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে লাগাতার পক্ষপাতিত্ব এবং নিয়ম না মানার অভিযোগ তুলছে শাসক দল জেএমএম। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী সমাবেশের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের হেলিকপ্টার উড়ান বিলম্বিত করার অভিযোগ তুলল দলটি। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর সভা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে হেমন্ত সোরেনের সভা থাকলেও নিরপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ৯০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে তাঁর হেলিকপ্টার উড়ানের অনুমতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে অস্বস্তিতে JMM, বিজেপিতে যোগ দিলেন হেমন্ত সোরেনের প্রস্তাবক মুর্মু
জেএমএমের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাজনিত কারণ তাঁর অবস্থানের ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধকে নো ফ্লাই জন হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। এই সীমার ভিতরে ১৫ মিনিট পর্যন্ত কোনও উড়ানের অনুমতি দেওয়া হয় না। কিন্তু, হেমন্ত সোরেনের সভা ছিল প্রধানমন্ত্রী সভা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে। তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন ৯০ মিনিট ধরে তাঁর হেলিকপ্টার উড়ানের অনুমতি দেয়নি। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তীব্র নিন্দা করেছে জেএমএম। তাদের অভিযোগ, কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে। এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখে হস্তক্ষেপ চেয়েছে জেএমএম। রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে তাদের আর্জি, ‘আপনি উপজাতীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং আমাদের নেতাও করেন। এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা।’
জেএমএম সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমন্ত পশ্চিম সিংভূম জেলার গুদ্রির মনোহরপুরে (এসটি) জগত মাঝির জন্য একটি সমাবেশে বক্তৃতা যোগ দিয়েছিলেন। পরে সিমডেগায় কংগ্রেস প্রার্থী ভূষণ বারার জন্য আরেকটি জনসভার জন্য যাচ্ছিলেন। সেই সময় নির্বাচন কমিশনের তরফে তাঁকে উড়ানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। হেমন্ত অবশেষে প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে সিমডেগা পৌঁছন।
জেএমএম মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটি করে নির্বাচন কমিশন বিধি লঙ্ঘন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের ক্ষেত্রে ৫০ কিমি জুড়ে এলাকায় ১৫ মিনিট ধরে উড়ান বন্ধ থাকে।’ উল্লেখ্য, মোদী সোমবার ঝাড়খণ্ডে দুটি সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। একটি গাড়োয়া এবং অন্যটি চাইবাসাতে। সেখান থেকে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে জেএমএম-নেতৃত্বাধীন সরকারকে আক্রমণ করেন।