পিছিয়ে পড়েও ততটাও জমি হারায়নি বিজেপি। তবে জেডিএস-এর ভোটে থাবা বসিয়েছে কংগ্রেস। এই আবহে এই শতাব্দীতে কর্ণাটকে প্রথমবার কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে পারে কোনও দল। সকাল ১১টা পর্যন্ত কর্ণাটকের প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী, ১১৪টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। এই রাজ্যে ম্যাজিক ফিগার ১১৩টি আসনে। এদিকে দেখা গিয়েছে, গতবারের ১০৪টি আসনের থেকে এবার অনেকটাই পিছিয়ে গেরুয়া শিবির। এবারে ৭০ থেকে ৮০টি আসনের মধ্যে রয়েছে বিজেপি। তবে দক্ষিণ কর্ণাটকে অনেকটাই জমি হারিয়েছে জেডিএস। যার সরাসরি লাভবান হয়েছে কংগ্রেস। (কর্ণাটক নির্বাচনের লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে)
গত নির্বাচনের থেকে বিজেপি এবং কংগ্রেস, দুই দলই বেশি ভোট পেয়েছে শতাংশের হারে। তবে জেডিএস-এর ভোটের হার কমেছে। আসন সংখ্যাও কিছুটা কমবে বলে মনে হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কর্ণাটকে কংগ্রেস পেয়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ ভোট। বিজপির ঝুলিতে গিয়েছে ৩৬.৫ শতাংশ ভোট। এর আগের নির্বাচনেও ৩৬ শতাংশের আশেপাশেই ভোট পেয়েছিল হাত শিবির। তবে ভোট শতাংশ ধরে রেখেও হারছে বিজেপি। দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ কর্ণাটক বা মাইসোর এলাকায় বিজেপি সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি। এই অঞ্চলে মাত্র ৪টি আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস এই অঞ্চলে এগিয়ে ৩২টি আসনে। এদিকে দক্ষিণ কর্ণাটক জেডিএস-এর গড় হিসেবে পরিচিত। তবে জেডিএস সেখানে ভোট হারিয়েছে। তারা মাত্র ২১টি আসনে এগিয়ে এই অঞ্চলে।
মধ্য কর্ণাটকে এগিয়ে কংগ্রেস। এই অঞ্চলে ৭টি আসনে বিজেপি এগিয়ে। ১১টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। হায়দরাবাদ-কর্ণাটকেও অনেকটাই এগিয়ে কংগ্রেস। এই অঞ্চলে কংগ্রেস এগিয়ে ২৩টি আসনে। ১১টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। এই অঞ্চলে জেডিএস খাতা খুলতে পারে। এদিকে কর্ণাটকে সার্বিক ভাবে পিছিয়ে পড়লেও বেঙ্গালুরু এলাকায় এগিয়ে বিজেপি। এই অঞ্চলের ১৯টি আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির। আটটি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। জেডিএস আগিয়ে মাত্র ১টি আসনে। এছাড়া উপকূলীয় কর্ণাটকেও এগিয়ে বিজেপি। এই অঞ্চলে ১৪টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। ৫টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। এই অঞ্চল থেকেই সূচনা হয়েছিল হিজাব বিতর্কের। অপরদিকে উত্তর কর্ণাটকে বিজেপি অনেকটাই জমি হারিয়েছে। এই অঞ্চলে ৩২টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। বিজেপি এগিয়ে মাত্র ১৭টি আসনে।