ভোট নেহাত কম পড়ল না। কিন্তু রিগিং ও হিংসামুক্ত হতে পারল না কেরালার নির্বাচন। একাধিক জায়গা থেকে অশান্তির খবর মিলল। তারইমধ্যে শরবীমালা ইস্যু নিয়ে ভোটগ্রহণেরও দিন চলল টানাপোড়েন। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও দায়ের করল সিপিআইএম।
নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেরালায় কমপক্ষে ৭৩.৫৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিশেষত দুপুর-বিকেল পর্যন্ত ভোটদানের হার চমকপ্রদ ছিল। কিন্তু মধ্য কেরালায় একটানা বৃষ্টির জেরে শেষের দিকে ভোটদানের কিছুটা ধাক্কা খায়। ভোটদানের আগ্রহ বেশি থাকলেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রিগিং এবং বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনায় লাগাম টানা যায়নি। উত্তর কেরালার তালিপারাম্ভার একাধিক বুথ দখলের অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস জোট। তিরুবন্তপুরমে সিপিআইএম এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দু'পক্ষের কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, শংসাপত্র ছাড়া একজনকে ভোট দেওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় কান্নুরের পায়ানুর কেন্দ্রের একটি বুথের প্রিসাইডিং অফিয়ারের উপর সিপিআইএম হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
তারইমধ্যে প্রচার-পর্বের মতো ভোটের দিনও কেরালায় শরবীমালা ইস্যু নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়। তথাকথিত উচ্চবর্ণের নায়ারদের একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খেদ প্রকাশ করে জানান, ভক্তরা এখনও বিচার পাননি। বিধানসভা নির্বাচনের ইভিএমে তার প্রভাব পড়বে। একইসঙ্গে তিনি জানান, সরকার পরিবর্তন করতে চাইছেন কেরালাবাসী।
যথারীতি সেই মন্তব্যের সমর্থনে মুখ খোলেন একাধিক কংগ্রেস এবং বিজেপি নেতা। নির্বাচনের দিন কোনওভাবেই সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি বিরোধীরা। তা নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয় সিপিআইএম। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে পাঠানো অভিযোগপত্রে বিদায়ী আইনমন্ত্রী একে বালান দাবি করেন, নায়ারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এবং বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা এমন একটা মনোভাব তৈরির চেষ্টা করছেন যে নির্বাচনটা নাস্তিক এবং আস্তিকদের মধ্যে লড়াই। নির্বাচনে ধর্মীয় বিষয়ে উস্কে দেওয়া পুরোপুরি নিয়মবিরুদ্ধ।