তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে জোর লড়াইয়ের সাক্ষী থেকেছে সাগরদিঘি। আজ সেই লড়াইয়ের ফলাফল প্রকাশিত হল। তৃণমূলকে হারিয়ে এই আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। কয়েকটি ঝামেলার ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হয়েছিল সাগরদিঘিতে। তিনবারের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুতে সোমবার সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে গড় ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফলের লাইভ আপডেট জানতে চোখ রাখুন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায়।
'কংগ্রেস বাড়লে মমতা খুশি হবেন'
সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমার মনে হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছিলেন এখান থেকে কংগ্রেস বাম সমর্থিত প্রার্থী জিতুক। ওখানকার ভোটারদের দাবি ছিল মুসলিম বিধায়ক চাই। সাগরদিঘিতে মুসলিম ভোট তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওখানে কংগ্রেসকে জিতিয়ে বিরোধী ভোট ভাগ করতে চেয়েছেন। বিধানসভায় সিপিএম-কংগ্রেস ছিল না বলে তিনি যে দুঃখ পেয়েছিলেন সেকথা আগেই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি একথাও বলেছিলেন, বিধানসভায় বিজেপির থেকে সিপিএম – কংগ্রেস বাড়লে উনি খুশি হবেন’।
হার নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?
সাগরদিঘিতে বিজেপির সোচনীয় ফল নিয়ে রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মুসলিম ভোট তৃণমূল থেকে সরছে। এটা ভাল লক্ষ্মণ। মুসলিমরাও বুঝতে পারছেন তৃণমূল তাদের কোনও উন্নয়ন করতে পারবে না। তাই মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সরে এসেছে। আমি তাদের বলব, নাগাল্যান্ডের দিকে দেখুন। যেখানে ৯৮ শতাংশ সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান, তাঁরা কিন্তু মোদীজির ওপর ভরসা রেখেছেন।’
সাগরদিঘির ভোটের সারমর্ম
সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের ফলপ্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, জয়ী প্রার্থী বাইরণ বিশ্বাস পেয়েছেন ৪৭.৩৫ শতাংশ ভোট। তৃণমূল পেয়েছে ৩৪.৯৩ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ১৩.৯৪ শতাংশ ভোট। সংখ্যার হিসাবে বাইরণের ঝুলিতে গিয়েছে ৮৭৬৬৭টি ভোট। তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৬৪৬৮১টি ভোট। আর বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা পেয়েছেন মাত্র ২৫৮১৫টি ভোট। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মাফুজা খাতুন ৪৫ হাজার ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিলেন। এখন বিজেপি তৃতীয় স্থানে তারা।
ভোটে জিতে কী বললেন বাইরন বিশ্বাস?
ভোটে জিতে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস বলেন, ‘মানুষেক অনেক ভালোবাসা পেয়ে আজকে আমি জয়ী হয়েছি। আমাকে জয়ী করার মানুষের যে ইচ্ছে ছিল, তা সফল হল। মানুষকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা পালন করব। ৩৬৫ দিন মানুষের সঙ্গে থাকব। সাগরদিঘিবাসীদের জন্য আন্তরিক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা রইল।’
‘মুর্শিদাবাদ এখনও অধীর গড়’
কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, সাগড়দিঘির উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয় আরও একবার প্রমাণ করে দিল যে মুর্শিদাবাদে এখনও কংগ্রেস নেতা অধির চৌধুরীর গড়। বিপুল ভোট দিয়ে মুর্শিদাবাদের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে তারা কংগ্রেসের পাশেই আছে। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপির তাবেদারি করে আর বেশি দিন চলতে পারবে না।
বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী
সাগরদিঘিতে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা বলেন, ‘পার্টির তরফে বসে পর্যালোচনা করা হবে। এটা প্রত্যাশিত ছিল না। কোথায় ভুল হয়েছে, সেটা দেখার পর বলতে পারব। মানুষ কীভাবে ভাবল এবং আমাদের রাজ্য নেতৃত্বের কী ভুল রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। বিজেপির ভোটটা জোটের দিকে গেছে বলেই মনে হচ্ছে।’
সাগরদিঘি নিয়ে কী বললেন পার্থ?
সাগরদিঘিতে তৃণমূলের হার নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দল নিশ্চয়ই পর্যালোচনা করে দেখবে।’ পার্থ পরে আরও বলেন, ‘তৃণমূল দল থাকার, থাকবে। আরও বাড়বে।’
সাগরদিঘিতে ৪৭.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে জয়ী কংগ্রেস
সাগরদিঘিতে ৪৭.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে জয়ী কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ৩৪.৯৪ শতাংশ ভোট। বিজেপি তৃতীয় স্থানে এই আসনে। গেরুয়া শিবির পেয়েছে ১৩.৯৪ শতাংশ।
সংখ্যালঘু ইস্যুতে কী বললেন মমতা?
মমতা বলেছেন, ‘সংখ্যালঘুরা আমার পাশে আছেন। আমিও তাঁদের পাশে আছি। একটা আসনে জিতে এ সব মন্তব্য করা যায় না। তবে আমি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’
‘কাউকে দোষ দেব না’
আজ মমতা বলেন, সাগরদিঘি উপনির্বাচন আমরা হেরেছি। এনিয়ে কাউকে দোষ দেব না। গণতন্ত্রে ভোটে প্লাস-মাইনাস হতেই পারে। কিন্তু এটা বলব যে একটা অনৈতিক জোট হয়েছিল। আমি এটার নিন্দা করছি। বিজেপির ভোট চলে গিয়েছে কংগ্রেসের কাছে। সিপিএম আর কংগ্রেসের মধ্যে জোট।আমি কংগ্রেসের নেতাকে ধন্যবাদ জানাব যে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস, বিজেপি, আর সিপিএম একসঙ্গে সহায়তা করেছে। আমি তার বিবৃতি শুনেছি। সত্য়িটা বলার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু কীভাবে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে? কীভাবে সিপিএম বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে? মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে হারানোর জন্য় ওরা বিজেপির কাছ থেকে সহায়তা নিচ্ছে।
'মুসলমানের সঙ্গে গদ্দারি করেছে তৃণমূল'
অধীর বলেন, ‘তৃণমূল মুসলমানের সঙ্গে গদ্দারি করেছে। এটা তারা জানে। তারা বিজেপির দালালি করে। ভারতের মুসলমানরা জানেন। বাংলার মুসলমানরা জানেন। মুসলমানদের একবার ঠকানো যায়। বার বার ঠকানো যাবে না।’
শেষ কবে পশ্চিমবঙ্গে কোনও উপনির্বাচনে হেরেছিল তৃণমূল কংগ্রেস?
রাজ্যে উপনির্বাচন মানেই শাসকদলের জয়, সেই রাজ্যে 'প্রথা' ভেঙে সাগরদিঘিতে হারের সম্মুখীন হল তৃণমূল কংগ্রেস। শেষ কবে পশ্চিমবঙ্গে কোনও উপনির্বাচনে হেরেছিল তৃণমূল কংগ্রেস? (বিস্তারিত পড়ুন এখানে)
‘তাঁর মেয়ের আত্মহত্যা নিয়ে প্রশ্ন করব?’, অধীরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ মমতার
মমতা বলেন, 'তাঁর মেয়ের আত্মহত্যা নিয়ে কিছু প্রশ্ন করলে তিনি (অধীর চৌধুরী) বলতে পারবেন? ওঁর গাড়ির চালকের আত্মহত্য়া নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কিছু বলবেন? আমি অনেক কিছুই জানি।'
‘একাই তিন শক্তির বিরুদ্ধে লড়বে’
মমতা বলেন, ‘তৃণমূল একাই তিন শক্তির বিরুদ্ধে লড়বে। জিতলেও সাগরদিঘির জয় নীতিগত হার কংগ্রেসের। ওদের দেওয়া নেওয়া সম্পর্ক। আজ আমাদের ছেলের বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। কংগ্রেসের বাড়িতে কোনও হানা দেওয়া হয় না। সিপিএম-এর বাড়িতে হানা দেয় না। আজ পর্যন্ত কোনও জেরা করেনি।’
‘আমি তৃণমূলকে কিনে নেব’, মন্তব্য বাইরনের
ভোটে জিতে বাইরন বিশ্বাস বলেন, ‘লিখে রেখে দিন, তৃণমূল আমাকে কিনতে পারবে না। দরকারে তৃণমূলকে কিনে নেব।’
পাঁচ দশক পর ফের সাগরদিঘি দখল করল কংগ্রেস
১৯৭২ সালে শেষবার কংগ্রেস জিতেছিল সাগরদিঘির আসনে। পাঁচ দশক পর ফের একবার এই আসন দখল করল কংগ্রেস। পড়ুন বিস্তারিত
সাগরদিঘির ফলের জন্য বিজেপি ও শুভেন্দুকে ধন্যবাদ জানালেন রুদ্রনীল ঘোষ
বিজেপি নেতা রূদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘সাগরদিঘির ফলের জন্য আমি ভারতীয় জনতা পার্টিকে ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানাব। পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও নির্বাচন লুঠের নির্বাচন না হয় সেজন্য নিরলস চেষ্টা চালিয়েছেন উনি।’
কংগ্রেসকে অভিনন্দন শমীক ভট্টাচার্যের
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘যে সমস্ত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে সংগঠনের অভাবের কারণে গতবারে আমাদের প্রার্থীরা ঢুকতে পর্যন্ত পারেননি, সেখানকার মানুষ যে আমাদের প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এমনটা নয়, তা এবারের নির্বাচনে প্রমাণিত হল। সে সব জায়গায় এবার আমারা বুথে এজেন্ট দিতে পেরেছি, আমাদের প্রার্থী অবাধে প্রচার করতে পেরেছেন। তবে মুর্শিদাবাদে বেশ কিছু জায়গায় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। এই ভোটে যদি তার প্রতিফলন হয়, কংগ্রেস যদি শেষ পর্যন্ত জেতে, তাদের অভিনন্দন।’
কংগ্রেসের জয় প্রায় নিশ্চিত
১৪ রাউন্ড ভোট গণনা শেষে ২২,৩১৭ ভোটে এগিয়ে গেলেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস।
২১ হাজার ভোটে এগিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস
দ্বাদশ রাউন্ড ভোট গণনার পর প্রায় ২১ হাজার ভোটে এগিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস।
৪৮ শতাংশ ভোট কংগ্রেসের ঝুলিতে
অষ্টম রাউন্ড শেষে দেখা গিয়েছে সাগরদিঘিতে ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানাল রাজ্য বিজেপি
সাগরদিঘিতে জয়ে কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানাল রাজ্য বিজেপি। এর আগে এই আসনে কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির ‘আঁতাত’ নিয়ে সরব হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাম–কংগ্রেস জোটকে নতুন অক্সিজেন দেবে এই জয়
শূন্য থেকে বিধানসভায় খাতা খুলবে কংগ্রেস। আর বাম–কংগ্রেস জোট প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জিতলে তা বাংলায় বাম–কংগ্রেসকে নতুন অক্সিজেন দেবে।
এই উপনির্বাচনের প্রভাব পড়বে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ওপর?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই উপনির্বাচনে জয় বাম–কংগ্রেসকে অক্সিজেন দিয়েছে। বিধানসভায় খাতা খোলা নিশ্চিত হতেই তাঁদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও এটা চিন্তার কারণ তাঁদের কাছে। উপনির্বাচনে পরাজিত হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার প্রভাব পড়ে।
বাম ভোটের দৌলতেই জয়ী কংগ্রেস?
সিপিএমের ভোটব্যাঙ্ক এখানে কাজ করেছে বলেই কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। বেশ কয়েক রাউন্ড গণনা বাকি থাকলেও শুরু থেকে প্রত্যেক রাউন্ডে এগিয়ে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সাগরদিঘি হাতছাড়া হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিধানসভায় খাতা খুলতে চলেছে কংগ্রেসের
বিধানসভায় খাতা খুলতে চলেছে কংগ্রেসের। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ট্রেন্ড বলছে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে কংগ্রেসের প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জয়ী। কংগ্রেস এবার সিপিএমের সঙ্গে জোট করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। আর আগে থেকেই তৃণমূল এখানে স্থানীয় নেতাকে তুলে এনে পরীক্ষা করতে চাইছিল।
ব্যবধান ছাড়াল ১১ হাজারের গণ্ডি
নবম রাউন্ডের শেষে বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস ১১৭৮২ ভোটে এগিয়ে। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ১৬,৯৬৪, কংগ্রেস পেয়েছে ৫০,১৬৭ ভোট আর তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৩৮,৩৮৫।
‘জোটই আগামী দিনের ফরমুলা’, বললেন অধীর
অধীর চৌধুরী আরও বলেন, ‘জোটই আগামী দিনের ফরমুলা। আমরা বরাবর জোট চেয়েছি। আমরা কখনও বামেদের সঙ্গে জোট ভাঙিনি। ২০১৬ সাল থেকে আমরা একই কথা বলে আসছি। সিপিএমের মাঝে মনে হয়েছিল জোটের দরকার নেই। তাই তারা জোট থেকে সরে গেছিল। নির্বাচনের আগে আমি বিমানবাবুকে সমর্থন চেয়ে অনুরোধ করেছিলাম। বিমানবাবু আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমর্থন করেছেন। তাঁকে আমি ধন্যবাদ জানাব। তার পর মহম্মদ সেলিম প্রচারে এসেছিল, বোন মীনাক্ষী সেও প্রচারে এসেছিল। এই জয়ে বামেদের সমর্থন ছাড়াও তৃণমূলের একাংশের সমর্থন রয়েছে। যারা মনে করে রাজনীতিতে সততা দরকার, চৌর্যবৃত্তি দুর্নীতিকে মানতে পারেনি তারা আমাদের সমর্থন করেছে। এছাড়া বিজেপির কিছু ভোটার মনে করেছে কৌশলগত কারণে তৃণমূলকে হারানোর জন্য কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া দরকার। মুর্শিদাবাদ জেলায় পুলিশের সাহায্যে প্রলোভন দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে কংগ্রেসকে দুরমুশ করা হয়েছিল’।
'তৃণমূলের একটা অংশ সমর্থন করেছে বাম–কংগ্রেস জোটকে'
সাগরদিঘির ফলাফল নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘এই জয়ের মধ্যে দিয়ে সাগরদিঘির মানুষের অদম্য মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে। এই নির্বাচনে বাম – কংগ্রেস জোটকে তৃণমূলের একটা অংশ সমর্থন করেছে। এমনকী কৌশলগত কারণে বহু বিজেপি সমর্থক কংগ্রসকে ভোট দিয়ে থাকতে পারে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মানুষের ভোটদানের অধিকার সুরক্ষিত করতে পেরেছে। যা এই নির্বাচনে আমাদের জয়ের অন্যতম কারণ। এই নির্বাচন প্রমাণ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজেয় নন। তাঁকে পরাজিত করা যেতে পারে। তৃণমূলকে বধিবে যে মুর্শিদাবাদে বাড়িছে সে। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস বাড়ছে। আগামীদিনে আমরা তৃণমূলকে উচ্ছেদ করব। কংগ্রেস বাম ও অন্যরা মিলে এই বাংলায় চোরতন্ত্র উচ্ছেদ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব’।
অষ্টম রাউন্ডে ব্যবধান বাড়াল কংগ্রেস
অষ্টম রাউন্ড গণনার শেষে ৯৩৬১ ভোটে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী। ব্যবধান কিছুটা কমাল তৃণমূল। আপাতত কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ৪২,৬৯০। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৩৩,৩২৯।
পঞ্চম রাউন্ডের পরে ৫ হাজার ভোটে এগিয়ে কংগ্রেস
পঞ্চম রাউন্ডের গণনা শেষে তৃণমূলের দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ৫,০৯৩ ভোটে এগিয়ে গেলেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। পঞ্চম রাউন্ড শেষে কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ২৮,৫৯৩। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ২২,৪২৬। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৭,৮৯৯।
তৃতীয় রাউন্ড শেষেও এগিয়ে কংগ্রেস
তৃতীয় রাউন্ডের শেষে কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ১৬,৪৯৬। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ১৪,৫৩৭। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৫০০০। কংগ্রেসের সঙ্গে নিজেদের ব্যবধান কিছুটা কমাল তৃণমূল।
সাগরদিঘিতে ১১ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে প্রথম স্থানে কংগ্রেস
দুই রাউন্ডের পর কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ১১,৪৩৫ ভোট। তৃণমূল পেয়েছে ৯৩৫৫ ভোট। এদিকে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৩০৫৩ ভোট।
প্রায় ২ হাজার ভোটে এগিয়ে কংগ্রেসের বাইরন
দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে আপাতত ১ হাজার ৯৫৯ ভোটে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস।
দ্বিতীয় রাউন্ডে জিতে আরও প্রত্যয়ী কংগ্রেসের বাইরন
বাইরন বিশ্বাস বলেন, ‘দু'টি অঞ্চল নিয়ে ভয় ছিল। সেখানে আমরা এগিয়ে গিয়েছি। চিন্তার কোনও ব্যাপার নেই। আমরা সব জায়গাতেই এগিয়ে যাব। জনগণ জবাব দিয়েছেন। আমরা জিতলে কারও সঙ্গে আঁতাঁত করব না।’
সাগরদিঘিতে তৃতীয় স্থানে বিজেপি
সাগরদিঘিতে তৃতীয় স্থানে বিজেপি। এর আগে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। সেবার তৃণমূলের কাছে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে হেরেছিল তারা। তবে ভোট শতাংশের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে ছিল পদ্ম শিবির। হাত শিবির ছিল তৃতীয় স্থানে। আর এবার কংগ্রেস সবাইকে ছাপিয়ে প্রথম হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে সাগরদিঘিতে।
কাউন্টিং এজেন্টকে গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ সাগরদিঘিতে
এসডিপিআই প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্টদের গণনা কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ।
দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে এগিয়ে কংগ্রেস
সাগরদিঘিতে দ্বিতীয় রাউন্ডের পরও এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস।
৫৩৯ ভোটে এগিয়ে কংগ্রেস
প্রথম রাউন্ড শেষে বাইরন বিশ্বাস এগিয়ে ৫৩৯ ভোটে। আরও ১৫ রাউন্ড ভোট গণনা বাকি এই কেন্দ্রে।
‘মানুষ চুরি-চামারি বুঝতে পেরেছে’
প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে গিয়ে বাইরন বিশ্বাস বলেন, ‘কংগ্রেসই জয়ী হবে। জনগণ তাই বলছে। আমি ১০০ শতাংশ আশাবাদী। সাধারণ মানুষ সজাগ হয়েছে। তৃণমূলের অত্যাচার, চুরি-চামারি বুঝতে পারছে। বেকারত্ব-এইসব সমস্যা বুঝেই মানুষ এবার কংগ্রেসকে চেয়েছে। পরিবর্তন হবেই।’
প্রথম রাউন্ডের গণনার পর সাগরদিঘিতে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী
প্রথম রাউন্ডের ভোট গণনার পর সাগরদিঘিতে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। প্রায় ৫০০ ভোটে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী।
পোস্টাল ব্যালটের পর প্রথম রাউন্ড ভোট গণনা শুরু সাগরদিঘিতে
প্রথম রাউন্ডের ভোট গণনা শুরু হয়েছে একটু আগে। আজ এই কেন্দ্রে মোট ১৬ রাউন্ড ভোট গণনা হবে।
পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে কংগ্রেস
পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। আজ মোট ১৬ রাউন্ড ভোট গণনা হবে।
সাগরদিঘিতে এগিয়ে কংগ্রেস
প্রাথমিক ভাগে সাগরদিঘিতে এগিয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস।
‘২০২১ সালে এনআরসি ইস্যুতে ভোট হয়েছিল’
বাইরন বিশ্বাস ভোট গণনা শুরু হতেই বললেন, ‘২০২১ সালে এনআরসি নিয়ে ভোট হয়েছিল। এবার মানুষ বেকারত্বের মতো ইস্যু মাথায় রেখে ভোট দিয়েছে। এবার পরিবর্তন ঘটবে।’
শুরু হয়েছে ভোট গণনা
সাগরদিঘি কামদা কিংকর স্মৃতি মহাবিদ্যালয় সাগরদিঘী উপনির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে সকাল আটটা থেকে। প্রথমেই গণনা চলছে পোস্টাল ব্যালটের।
ভোটে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী কংগ্রেস-তৃণমূল দুই পক্ষই
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভোট গণণা না-হওয়া পর্যন্ত কর্মীরা যেন গণনা কেন্দ্র না ছাড়েন। ফলপ্রকাশের আগে আগাম জয়ের উল্লাস দেখা গিয়েছে কংগ্রেস শিবিরে। ভোটের পরদিন মঙ্গলবার রাতে দলীয় কার্যালয়ে কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে খোশমেজাজে কাটান কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস।
বিজেপির প্রার্থী বাছাইয়ে বদলে যাবে সমীকরণ?
এদিকে মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, তৃণমূলের তরফে দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হওয়ার পর প্রয়াত সুব্রত সাহার অনুগামীদের সমর্থনের হাওয়া বিপক্ষে বইতে শুরু করেছে কিছুটা। এদিকে এই কেন্দ্রে বিজেপির সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক এবার কংগ্রেসের দিকেই ঢলেছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে এই কেন্দ্রে দ্বিতীয়স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুন। তবে এবার দিলীপ সাহাকে প্রার্থী করে বিজেপি ভোটের সমীকরণ পালটে দিয়েছে।
সাগরদিঘিতে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখার আশায় বিজেপি
এদিকে বিজেপি জয়ের আশা করছে না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে গতকালই বলেছিলেন, 'আমরা জয়ের আশা করি না। তবে দ্বিতীয়স্থান আমাদের।'
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ওপর ভরসা তৃণমূলের
গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন দেখেই মানুষ ঘরের বাইরে বেরিয়ে ভোট দিয়েছেন। জয় আমাদেরই হবে।'
৯৯ হাজার ৪৫৮ মহিলা ভোট দিয়েছে এবার
এদিকে সোমবার ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ১২টি ভোট পড়েছে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে। তারমধ্যে মহিলা ভোটের সংখ্যা ছিল ৯৯ হাজার ৪৫৮। এই আবহে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মত, মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রভাব দেখা যাবে ইভিএম-এ।
সাগরদিঘিতে এবার ৭৮ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়েছে
সাগরদিঘিতে এবার ৭৮ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়েছে। সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে ৬৫ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার। অন্য দিকে হিন্দু ভোটারের সংখ্যা ৩২ শতাংশ। শাসকদের চিন্তার কারণ হতে পারে পরিযায়ী শ্রমিক। পরিসংখ্যান বলছে বিধানসভা এলাকায় মোট পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৩০ হাজার। এদের মধ্যে ৮০ শতাংশ সংখ্যালঘু।
বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে সাগরদিঘিতে
বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সোমবার অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয় সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। বিজেপির পাঁচজন বুথ এজেন্টকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এদিকে তৃণমূল অভিযোগ করে, কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস বুথে বুথে প্রবেশ করে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। বোখরা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৭, ৪৮, ৫৪, ৫৫ নং বুথে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। এদিকে নকল ইভিএম দেখিয়ে, চা-ঘুগনি খাইয়েও ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে শাসক, বিরোধী দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই।
ভোটের দিন সাগরদিঘিতে হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি
সাগরদিঘির মোট ২৪৬টি বুথে ভোট গ্রহণ হয় গত সোমবার। এর মধ্যে ৫০টি বুথকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ভোটের নজরদারিতে ছিল ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১০০ শতাংশ বুথে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। ভোট চলাকালীন থাকছে ওয়েবকাস্টিং-এর ব্যবস্থা ছিল। এ ছাড়া যে কোন রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় ছিল কুইক রেসপন্স টিম। তবে ভোটের দিন সাগরদিঘিতে হিংসার কোনও ঘটনা সামনে আসেনি।
তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য কার্যত মর্যাদার লড়াই
সাগরদিঘির উপনির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য কার্যত মর্যাদার লড়াই। এবারের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস প্রার্থী করে বাইরন বিশ্বাসকে। এদিকে বিজেপি এবার প্রার্থী করেছে দিলীপ সাহাকে। এর আগে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে সংখ্যালঘু প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। তা সত্ত্বেও সুব্রত সাহা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে আসা প্রথম বিধানসভা আসন ছিল এই সাগরদিঘি। তাই এই আসন ধরে রাখতে মরিয়া হবে শাসকদল।
২০২১ সালে কী ফলাফল ছিল সাগরদিঘিতে?
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাগরদিঘি আসনে ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে জয়ী পয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুব্রত সাহা। তাঁর ঝুলিতে গিয়েছিল ৯৫ হাজার ১৮৯ ভোট। এই আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুন পেয়েছিলেন ২৪ শতাংশ বা ৪৪ হাজার ৯৮৩টি ভোট। বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হাসানউজ্জামান তৃতীয় স্থানে ছিলেন। তিনি পেয়েছিলেন ১৯.৪৫ শতাংশ ভোট। এই আসনে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম-ও প্রার্থী দিয়েছিল। তবে তেলাঙ্গানার দলটির ঝুলিতে ২ শতাংশ ভোটও যায়নি।
তৃণমূলের শক্তঘাঁটিতে ফাটল ধরাবে কংগ্রেস?
বিগত এক দশক ধরে তৃণমূলের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত সাগরদিঘিতে টানা তিনবারের বিধায়ক ছিলেন সুব্রত সাহা। ২০১১ সালে মুর্শিদাবাদে তিনিই হয়েছিলেন প্রথম তৃণমূল বিধায়ক। তারপর দু'বার বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন প্রয়াত সুব্রত সাহা। ২০২১-এর নির্বাচনে তিনি বিজেপি প্রার্থীকে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন। তবে এবার তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শক্ত লড়াইয়ের মুখে ফেলতে পারেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস।
সাগরদিঘির নির্বাচনী ইতিহাস কী?
১৯৫১ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সাগরদিঘি আসনে দাপট ছিল কংগ্রেসের। মাঝে একবার শুধুমাত্র ১৯৬৯ সালেরবিধানসভা নির্বাচনে এই আসনটি দখল করেছিল অধুনা বাংলা কংগ্রেস। তবে ১৯৭৭ সাল থেকে এই বিধানসভা আসনে এক চেটিয়া ভাবে জিততে শুরু করে সিপিএম। ১৯৭৭ এবং ১৯৮২ সালে এই আসনে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিল হাজারি বিশ্বাস। এরপর ১৯৮৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই আসনের বিধায়ক ছিলেন সিপিএম-এর পরেশ নাথ বিশ্বাস। তবে ২০১১ সালে রাজ্যের পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে এই আসনেও পরিবর্তন ঘটে। আসনটি তৃণমূলের দখলে যায়। এরপর থেকে ২০১১ সাল থেকে একটানা এই আশনের বিধায়ক ছিলেন সুব্রত সাহা। তবে সুব্রত সাহার মৃত্যুতে এই আসনটি ফাঁকা হয়।
আশাবাদী অধীর
সাগরদিঘি উপনির্বাচন নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, 'উপনির্বাচনে সাধারণ মানুষ ভোট দিচ্ছে। তৃণমূলের সন্ত্রাস, তাতে পুলিশের মদত, সব কিছুকে উপেক্ষা করেও সাধারণ মানুষ নিজে ভোট দিতে বুথের দিকে রওনা দিচ্ছে। কংগ্রেস জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত। কিছু তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকও কংগ্রেসকে ভোট দিচ্ছে। এখন দেখার বিষয় ব্যবধান কত হয়। সাগরদিঘি নির্বাচনে কংগ্রেস জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে।'
হাল ছেড়েছে বিজেপি
সাগরদিঘি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘অনেকগুলো দল আছে, কে জেতে দেখি। বিজেপি ২ নম্বরে ছিল, ২ নম্বরে থাকারই সম্ভাবনা আছে। সাগরদিঘিতে আমাদের জেতার সম্ভাবনা কম।’
বিজেপি-কংগ্রেস আঁতাতের অভিযোগ
২০২১ সালে এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুন। তবে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রে বিজেপি এবার হিন্দু প্রার্থী দেওয়ায় 'আঁতাত' তত্ত্ব তুলেছে তৃণমূল। ভোটের দিন বিজেপি এবং কংগ্রেস প্রার্থীর করমর্দন নিয়ে টুইট করে 'আঁতাত' তত্ত্ব নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৮ শতাংশ
বিরোধীদের আশঙ্কার মাঝেও সাগরদিঘির উপনির্বাচন মোটের উপর শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এদিকে এবারের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৮ শতাংশ। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের তুলনায় যা বেশি। সাধারণত উননির্বাচনে কম হারে ভোট পড়ে। এদিকে বেশি হারে ভোট পড়সে তা শাসক বিরোধী হাওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে আজ
মুর্শিবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে আজ। সাগরদিঘিতে এবার ত্রিমুখী লড়াই ছিল। জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ের কোনও আশা দেখছে না বিজেপি। তা ফুটে উঠেছিল দিলীপ ঘোষের কথাতেও।