একই কেন্দ্রে একই দলের দুই প্রার্থী। বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির দুই প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে দুজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই ঘটনায় বারাসতে বিজেপির অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসেছে। এর মধ্যে এক প্রার্থীর নাম স্বপন মজুমদার এবং অন্য প্রার্থীর নাম সুমায় হিরা। এই দুই প্রার্থীর মনোনয়নকে ঘিরে এই মুহূর্তে বারাসতের রাজনীতিতে বেশ জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও সেক্ষেত্রে স্ক্রুটিনির পর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীর নামই থেকে যাবে বলে দাবি দলের নেতাদের।
আরও পড়ুন: ১৯'র সুনামিতে উড়ে গিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু, BJP-র হাত ধরে এবার ঘুরবে ভাগ্যের চাকা?
বারাসতে বিজেপির মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে অনেকদিন ধরেই। বিশেষ করে এই দুজনের মধ্যে কাকে প্রার্থী করা হবে তা নিয়ে দলের ভিতরে টানাপোড়েন চলছিলই। সেই অবস্থায় বিজেপির তরফে স্বপন মজুমদারকেই প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু, তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না দলের নেতা কর্মীদের একাংশ। তাদের একটা অংশ স্বপনকে প্রার্থী করার পরেই বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।
জানা যাচ্ছে, স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও বিজেপির এক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক থাকার সূত্রেই তাঁকে টিকিট দিয়েছিল দল। তাতেই বারাসতে বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। ভোটের কাজ থেকে অনীহা দেখাচ্ছিলেন দলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের একটা অংশ। কিন্তু, মনোনয়ন পর্বে চাঞ্চল্যকর ব্যাপার ঘটে যায়। স্বপন মজুমদারের পাশাপাশি বিজেপির নামেই মনোনয়ন জমা দেন সুমায় হিরা। তাতে শুরু হয়েছে জলঘোলা।
বিজেপির একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা ছিলেন সুমায় হিরা। টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি এগিয়েছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে তাঁকে টিকিট না দিয়ে স্বপনকে প্রার্থী করে বিজেপি। যদিও সুমায় এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে বারাসতের জেলা বিজেপি নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিয়েছে, স্বপন মজুমদারকেই দল থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। আর সুমায় হিরা নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । ফলে তিনি বিজেপির প্রতীক পাবেন না।
সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী, স্ক্রুটিনির সময় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে তাঁকে না হলে তাঁকে নির্দল থেকে লড়তে হবে। এই অবস্থায় বীরভূমের মতোই বারাসতে বিজেপির মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ঘটনা প্রবাহে তৃণমূলের কটাক্ষ, বিজেপি এখন নিজের ঘর সামলাতে ব্যস্ত। আবার তারা দাবি করছে নাকি লোকসভায় জিতবে। তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। মানুষ তাদের গ্রহণ করবে না।