গত সোমবার ২০ মে পঞ্চম দফায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে পঞ্চম দফায়। তবে ভোট গ্রহণ পর্ব থেকেই হাওড়া লোকসভার বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। বিশেষ করে পাঁচলা বিধানসভা এলাকায় বেশ কিছু বুথে হিংসার ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে একটি জায়গা হল বেলডুবি গ্রাম। ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও হিংসার ঘটনা ঘটেছে বেলডুবি গ্রামে। যার ফলে কার্যত পুরুষ শূন্য হয়ে গিয়েছে এই গ্রামটি। আতঙ্কে এই গ্রামের প্রায় ২০০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এখন তারা জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসার আশঙ্কা গোয়েন্দা রিপোর্টে, রাজ্যে নির্বাচন মিটলেও থাকবে বাহিনী
পঞ্চম দফায় হাওড়ার বেলডুবি গ্রামের উত্তর পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৯ এবং ৭০ নম্বর বুথে ভোট গ্রহণ হয়েছিল। তবে ভোটগ্রহণের মাঝপথে অশান্তি ছড়ায়। অভিযোগ, ওই বুথে ছাপ্পা ভোটের চেষ্টা করছিল তৃণমূলের কর্মীরা। তাতে বাধা দিয়েছিলেন বিজেপির দুজন এজেন্ট। এর পরেই তাদের বুথের মধ্যে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাদের সরিয়ে দিলেও রাস্তায় বের হলে তাদের প্রাণে মারার হুমকি দেয় তৃণমূল কর্মীরা।
আরও অভিযোগ, ভোট শেষ হওয়ার পরেই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান শেখ রুহুল আমিন এবং তার দলবল বিজেপির এজেন্টদের পাশাপাশি সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয় এবং বাড়ির পুরুষদের মারধর করে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এলাকায় বোমা পড়ে। সেই ঘটনার পরে প্রাণভয়ে ঘরছাড়া হয়ে পড়েন বহু বিজেপির কর্মী সমর্থক। সবমিলিয়ে ২০০ জন বিজেপির কর্মী সমর্থক এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া। এই মুহূর্তে তারা জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে অভুক্ত অবস্থায় তাদের দিন কাটছে।
বিজেপির আরও অভিযোগ, ওই এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তৃণমূল।যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযুক্ত নেতা। তার বক্তব্য, ভোটের দিন বুথে ঝামেলা হয়েছিল। তাও সেরকম কিছু নয়। তবে তার পরে ঝামেলা মিটে গিয়েছে। উলটে বিজেপি কর্মীরা রাতে তার বাড়িতে হামলা চালায়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাদের বাড়িতে হানা দেয়। তবে পালিয়ে যাওয়া বিজেপি কর্মী সমর্থকদের জঙ্গলে থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তার দাবি, ভোটে হেরে যাবে বুঝতে পেরে এখন বিজেপি নাটক করছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে।