আগামী সোমবার ২০ মে পঞ্চম দফায় ভোটগ্রহণ হবে দেশে। এই দফায় ৮ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অঞ্চলের ৪৯ টি আসনে ভোট হবে। তাতে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৬৯৫ জন প্রার্থীর। তার মধ্যে রয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল থেকে শুরু করে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী। এই প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই যেমন রয়েছেন ধনকুবের, আবার অনেকেই চালচুলোহীন দরিদ্র প্রার্থী।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ দফায় ৩৯% প্রার্থী কোটিপতি, দরিদ্রতমের সম্পদ মাত্র ২ টাকা!
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর)-এর তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চম দফায় ৬৯৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২২৭ জন অর্থাৎ ৩৩ শতাংশ প্রার্থী হলেন কোটিপতি, যাদের সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি টাকার বা তার বেশি। এডিআরের তথ্য অনুযায়ী, এই দফায় সবচেয়ে ধনী প্রার্থী হলেন বিজেপির অনুরাগ শর্মা। তিনি উত্তর প্রদেশের ঝাঁসি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ হল- ২১২ কোটি টাকার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন- মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্দি আসনের নির্দল প্রার্থী নিলেশ ভগবান সাম্বারে। তাঁর মোট সম্পত্তি হল- ১১৬ কোটি টাকার। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ হল-১১০ কোটি টাকা। মহারাষ্ট্রের মুম্বই উত্তর আসন থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের কৃষ্ণনন্দ ত্রিপাঠির সম্পত্তি রয়েছে ৭০ কোটি টাকার। তিনি ঝাড়খণ্ডছত্র আসন থেকে লড়বেন। মহারাষ্ট্রের মুম্বই উত্তর-পশ্চিম আসনের শিবসেনা (উদ্ভব বালাসাহেব ঠাকরে) প্রার্থী রবীন্দ্র দত্তরাম ওয়াইকারের সম্পত্তি রয়েছে ৫৪ কোটি টাকার।
অন্যদিকে, দরিদ্র প্রার্থীদের ১০ জনের মধ্যে বাংলার রয়েছেন তিন জন। এরা হলেন হুগলি কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী সুরজিৎ হেমব্রম। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ হল- ৫,৪২৭ টাকা। বারাকপুরের নির্দল প্রার্থী রোহিত কুমার পাঠকের সম্পত্তি ১৫,০৪১ টাকা এবং শ্রীরামপুর কেন্দ্রের এসইউসিআই(সি) প্রার্থী প্রদ্যুৎ চৌধুরীর সম্পত্তি রয়েছে ১৬,৩৫৫ টাকার। তবে এই দফায় সবচেয়ে দরিদ্র প্রার্থী হলেন জম্মু ও কাশ্মীরের বারমুল্লা আসনের নির্দল প্রার্থী মহম্মদ সুলতান গনাই। তাঁর মোট সম্পত্তি হল মাত্র ৬৭ টাকার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিহারের মুজাফফরপুরের নির্দল প্রার্থী মুকেশ কুমার। তাঁর ৭০০ টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলে তিনি নির্বাচনী হলফনামায় জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এই দফায় সবচেয়ে বেশি ধনী প্রার্থী রয়েছে বিজেপিতে। দলের ৪০ জনের মধ্যে ৩৬ জন প্রার্থী হলেন কোটিপতি এবং শিবসেনার ৮ জনের মধ্যে ৭ জন হলেন কোটিপতি। তৃণমূল কংগ্রেসের ৭ জনের মধ্যে ৬ জন কোটিপতি। আর কংগ্রেসের ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জন হলেন কোটিপতি।