ভোটের আগেই রক্তাক্ত তমলুক লোকসভা কেন্দ্র। সেখানে তৃণমূল নেতাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃত তৃণমূল নেতার নাম শেখ মইবুল। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মহিষাদলের বেতকুণ্ডুতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, বিজেপির নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল শেখ মইবুলের। এরপরই অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপরে হামলা চালিয়েছিল। (আরও পড়ুন: ষষ্ঠীতে বাংলায় নির্বাচন ৮ আসনে, একুশে নিরিখে আসন ধরে ধরে কোথায় এগিয়ে BJP, TMC?)
আরও পড়ুন: ভোট ষষ্ঠীর ৫৮ আসনে গতবার কটিতে জিতেছিল BJP? আজকের দফায় বিরোধীরা কোথায় এগিয়ে?
রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার বিকেলে বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বচসা হয়েছিল মইবুলের। তারপরই দুই পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় মইবুলকে বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তমলুকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে মৃত্যু হয় মইবুলের।
আরও পড়ুন: WB Lok Sabha Vote LIVE: ‘শান্তিপূর্ণ নাও হতে পারে ভোট’, আশঙ্কা অভিজিতের
এদিকে এদিকে ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করলেন যে নির্বাচন হয়ত শান্তিপূর্ণ নাও হতে পারে। নন্দীগ্রামে ভোটের আগের রাতে ফের ‘ঝামেলা’ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘পুলিশ সন্ত্রাস করছে। পুলিশের গায়ে উর্দি আছে, তাই সন্ত্রাস করার অনুমতি আছে। মমতা ও অভিষেক এই পরিকল্পনা করেছে। ভোট শান্তিপূর্ণ নাও হতে পারে।’
এমনিতেই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ওপর নজর গোটা বাংলা এবং দেশের। এই আসনে এবার বিজেপি প্রার্থী করেছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এদিকে তৃণমূল এখানে প্রার্থী করেছে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। অবশ্য এখানে লড়াইটা যেন 'অধিকারী পরিবার' বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের। এই তমলুকের অধীনে থাকা নন্দীগ্রামেই ২০২১ সালে মমতাকে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু। এই তমলুক আসনটি অধিকারী পরিবারের দখলে রয়েছে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই। তাই এবার কোনও অধিকারী এই আসনে না লড়লেও শুভেন্দুর কাছে এটা প্রেস্টিজ ফাইট।
উল্লেখ্য, তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে আছে তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রগুলি। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে তৃণমূল জিতলেও শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের পর থেকে সাংসদ দিব্যেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এই আবহে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ময়না, হলদিয়া এবং নন্দীগ্রাম আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। বাকি চারটি বিধনসভা কেন্দ্র অবশ্য তৃণমূল নিজেদের দখলে রেখেছিল।