শেষবেলার প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে প্রচার চালালেন। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক। উচ্ছ্বাস আর উত্তেজনার মধ্য দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার বক্তব্য রাখেন।
প্রচারের সময় দেখা যায়, বেশ কিছু কর্মী ও সমর্থক সবুজ আবির মেখে এসেছেন। অভিষেক তা লক্ষ্য করে বলেন, ‘এ কী! এখনই সবুজ আবির মেখে ফেলেছেন। সবুজ আবির বাঁচিয়ে রাখুন। ৪ তারিখ গোটা দেশ সবুজময় হবে।’ তার এই মন্তব্যে উপস্থিত জনতার মধ্যে হাততালির ঝড় ওঠে। উন্মাদনা ছড়ায় গোটা র্যালিতে।
আরও পড়ুন। ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত ভাঙড়, তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ
অভিষেক আরও বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের কোনও দলের সঙ্গে লড়াই নেই। এখানে তৃণমূলের লিড নিয়ে এক অঞ্চলের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের লড়াই হবে।’ তাঁর এই মন্তব্যে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে শেষবেলায় আরও উৎসাহের সঞ্চার করে।
একের পর এক সমর্থকের ভিড়ের মধ্যে, তৃণমূলের পতাকা হাতে এক বৃদ্ধা ভিড় ঠেলে এগিয়ে এসে জানান, তার বাড়ির বিদ্যুতের মিটার খারাপ হয়ে গিয়েছে। প্রবল হট্টগোলের মধ্যেও অভিষেক তাকে কাছে ডেকে তার অভিযোগ শুনেন এবং সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন। বিবেকানন্দ রকে মোদীর ধ্যান কি আদতে 'মৌন প্রচার'? EC-র দ্বারস্থ কংগ্রেস
এইভাবে, ডায়মন্ড হারবারে শেষবেলার প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকার কর্মী ও সমর্থকদের উৎসাহ বাড়ান।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালে, যখন তিনি প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেসময় তার প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন সিপিএম প্রার্থী ডা. আবুল হাসনাত, যিনি ৩৪.৬৬ শতাংশ ভোট পান। কিন্তু ২০১৯ সালে, সিপিএমের ফুয়াদ হালিম কাস্তে-হাতুড়ির প্রতীক নিয়ে মাত্র ৬.৬৭ শতাংশ ভোট পান। বামপন্থী ভোটের একাংশ বিজেপিতে চলে যাওয়া, বিজেপি প্রার্থী ৩৩.৩৯ শতাংশ ভোট পান। শুধু বামপন্থী ভোটাররাই নয়, ফলতার বিধান পাড়ুইয়ের মতো ডায়মন্ড হারবারের বহু সিপিএম নেতাও বিজেপিতে যোগ দেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২০১৪ সালে প্রাপ্ত ৪০.৩১ শতাংশ ভোটের সমর্থন ২০১৯ সালে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে ৫৬.১৫ শতাংশে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন। জয় নিয়ে নিশ্চিত NDA? মোদীর শপথের জন্য এবার ভাঙবে প্রথা! ১ মাস আগেই ঠিক হয় সবকিছু