মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একদিকে তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো। আবার তিনিই হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্বাচনী প্রচারে আসার কথা কাঁথিতে। দেবাংশু ভট্টাচার্যের প্রচারে আসবেন নেত্রী। সেকারণে কপ্টার নামার জন্য জায়গা দরকার। কিন্তু কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, আমরা কলেজের মাঠ দিতে পারব না।
এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে স্থানীয় অরবিন্দ স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ, কাঁথি মহকুমা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন ও দেশপ্রাণ কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে তাদের মাঠ দিতে কোনও আপত্তি নেই। এদিকে আপত্তি কেবলমাত্র কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের। আর সেই কলেজের মাথায় রয়েছেন মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র তথা কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি। তিনি যে কলেজের একেবারে শীর্ষে রয়েছেন সেই কলেজের মাঠই ব্যবহার করতে দেওয়া হল না। তবে কি 'বহিরাগত' দেবাংশুকে আটকাতে এবার একেবারে দলের একাংশই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন?
কাঁথি শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক বলেই পরিচিত। সেখানে মিটিং করতে আসছেন মমতা। আর সেখানে আসতে গিয়ে গোড়াতেই বড়সর বিপত্তি। খোদ নেত্রীর হেলিকপ্টার নামার ক্ষেত্রে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিল না কলেজ।
আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সুপ্রকাশ গিরি জানিয়েছেন, এটা আমাদের দলের অভ্যন্তরীন বিষয়। এটা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আর কলেজের অধ্য়ক্ষ অমিক কুমার দে জানিয়েছেন, গত ১ মে আমাদের অঙ্গীকার করতে হয়েছে যে নির্বাচন না মেটা পর্যন্ত কলেজের সম্পত্তি কোনও রাজনৈতিক কাজে দেওয়া যাবে না। ২ মে থেকে মহকুমা শাসকের মাধ্য়মে কলেজের সমস্ত সম্পত্তি নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই অবস্থায় আমি কী করে হেলিপ্যাডের অনুমতি দিতে পারি! বিষয়টি কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতির নজরেও আনা হয়েছে।
এদিকে এনিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি. কলেজের মাছে বিজেপির গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। তাতে কিছু হয় না।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার গোড়া থেকেই যেন তমলুক সব হিসেব ওলটপালট করার জন্য তৈরি। এখানে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। আর তাকে ঘিরে দলের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। দলের যুব সম্প্রদায় কতটা তাঁর সঙ্গে আছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তার মধ্য়েই এবার ভোটের মুখে সেই দ্বন্দ্বের আঁচই কি আছড়ে পড়ল?
তবে এভাবে নেত্রীর হেলিকপ্টার নামার ক্ষেত্রে আপত্তি জানাচ্ছে কোনও কলেজ এটা বাংলায় কার্যত নজিরবিহীন।