সিপিআইএম প্রার্থীর প্রচার শেষে দলীয় কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল হাওড়ার ধূলাগড়ে। রবিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। সিপিএম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হামলার পিছনে রয়েছে তৃণমূল। হামলার খবর পেয়ে এলাকায় ফিরে এসে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দাবি তোলেন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের। অভিযোগ, হামলা চালিয়েছে ধূলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলি উপপ্রধান আখতার লস্কর ও তার দলবল।
প্রচার শেষে হামলা
সিপিআইএমের দাবি, ‘প্রচারের পর সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখনই ধূলাগড় উত্তরপাড়া বিহারি গলি এলাকায় সিপিএম কর্মীদের ওপর হামলা হয়। এলাকায় সিপিএমের মিছিল করা যাবে না বলে হুমকি দিয়ে সিপিএম কর্মীদের কটূক্তি করা হয়। সিপিএম কর্মীরা প্রতিবাদ করলে দুপক্ষের হাতাহাতি বেঁধে যায়। সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, ‘এই ঘটনার প্রতিবাদ হবে। আপাতত জেলাশাসক ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে’।
আরও পড়ুন: : পরের সপ্তাহে এমন একটা রাজনৈতিক বিস্ফোরণ হবে যে তৃণমূল সামলাতে পারবে না: শুভেন্দু
পড়তে থাকুন: হিন্দুদের থেকে নেওয়া জরিমানার বখরা নিয়ে বিবাদে আক্রান্ত TMC-র দুষ্কৃতীকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন দিলীপ
এই ঘটনা শোনার পর প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় পুনরায় তিনি ও এলাকায় যান। সেখানে তিনি জানান, পার্টি কর্মীদের ওপরে হামলা হলে তিনি কোনোভাবে মেনে নেবেন না। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবেন এবং ওই এলাকার ১১টি বুথ স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে যাতে শান্তিপূর্ণ ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয় তার আবেদন জানানো হবে নির্বাচন কমিশনে।
অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের
অপরদিকে উপ প্রধান আখতার লস্করের বক্তব্য, এলাকায় হাতে গোনা কয়েকজন সিপিআইএম ক্যাডার রয়েছে। তাঁরা বিজেপি বা অন্য কারোর প্ররোচনায় সেখানে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: ‘কংগ্রেস ভাল করে লড়াই করুক, পুরো মদত দেব’, মালদা থেকে বিশেষ বার্তা মমতার
এদিকে সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পাল টেলিফোনে জানান, সিপিআইএম প্রার্থী প্রচার সেরে চলে যাওয়ার পর বাম কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যেশে কুমন্তব্য করেন। তখন রাস্তার পাশে বসে থাকা তৃণমূল কর্মীরা প্রতিবাদ করলে বিবাদ শুরু হয়। তাকে কেন্দ্র করে বচসা ও হাতাহাতি হয়। বড় কিছু বিষয় নয়।