আগামী ১ জুন শেষ দফায় ভোট রয়েছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রটি। কারণ এখানে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, এখানে একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি। অভিজিৎ দাস এখানে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হয়েছেন। আইএসএফ প্রার্থী হয়েছেন মজনু লস্কর। তবে এই কেন্দ্রে জয়ের হ্যাট্রিক করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ের বিষয়ে শুধু আত্মবিশ্বাসীই নন, জয়ের ব্যবধান আগের থেকে বাড়বে বলেই তিনি দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘তিন বছর ধরে বিজেপির বি–টিম হয়ে কাজ করছে’, ভাঙড় থেকে নওশাদকে তোপ অভিষেকের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, এবার তিনি ডায়মন্ড হারবারে ৪ লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন যা, ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সালের থেকেও বেশি। অভিষেক ২০১৪ সালে ৪০.৭১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। সংখ্যার হিসেবে তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৪৮১টি। অন্যদিকে, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএম প্রার্থী আবুল হাসনত পেয়েছিলেন ৪ লাখ ৩৭ হাজার ১৮৭টি ভোট। তবে সেই সময় বিজেপি ছিল তৃতীয় স্থানে।
২০১৯ সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিকটতম প্রার্থী বিজেপির নীলাঞ্জন রায়কে ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটে হারান। সেবার তিনি মোট ৫৬.১৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। ৪ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৩ ভোট পেয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তিনি পেয়েছিলেন ৩৩.৩৯ ভোট। অন্যদিকে, সিপিএমের প্রার্থী ডঃ ফুয়াদ হালিম তখন পেয়েছিলেন মাত্র ৯৩ হাজার ৯৪১টি ভোট। শতাংশের নিরিখে যা ছিল মাত্র ৬.৬৬ শতাংশ। কংগ্রেসের প্রার্থী সৌম্য আইচ রায় মাত্র ১৯ হাজার ৮২৮টি ভোট পেয়েছিলেন। কার্যত রেকর্ড ভোটে জয়ী হওয়ার পর ডায়মন্ড হারবার রীতিমতো ঢেকে যায় সবুজ আবিরে। আর এবার ভোটে জয়ের ব্যবধান অতীতের রেকর্ড ভেঙে দেবে বলে দাবি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, এজেন্সি নিয়েও তিনি সরব হয়েছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানান, তাঁর বয়স্ক বাবা মাকেও ছাড়েনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কিন্তু, এতকিছুর পরেও তিনি মাথা নত করেননি। তাঁর দাবি, এবার আর নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসবে না। যদি আসে সেক্ষেত্রে বিজেপিকে ল্যাজে গোবরে করার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যথেষ্ট।