একটি ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। সেই ভিডিয়োতে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলতে শোনা গিয়েছিল অধীর চৌধুরীকে। তারপরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনীতিতে। তীব্র সমালোচনায় সরব হয় তৃণমূল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, আসলে সেটি হল ভুয়ো ভিডিয়ো। প্রাথমিক তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল আর বিজেপি হল, একই মুদ্রার এপিঠ–ওপিঠ’, চাপে পড়ে বয়ান বদল অধীরের
এই ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্ক তৈরি হতেই পুলিশকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। প্রাথমিকভাবে তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই ভিডিয়োটি প্রযুক্তির মাধ্যমে বানানো হয়েছে। তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট জমা দিয়েছে পুলিশ। কোন আইপি অ্যাড্রেস থেকে ভিডিয়োটি ভাইরাল করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে এফআইআর দায়ের করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। হালে অমিত শাহর ফেক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। এবার হল অধীর চৌধুরীর।
প্রসঙ্গত, এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তুমুল সমালোচনায় সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অধীর চৌধুরীকে বিজেপির বি-টিম বলে কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল। প্রসঙ্গত, কয়েক সেকেন্ডের এই ভিডিয়োতে একটি জনসমাবেশে বক্তৃতা দিতে দেখা যায় অধীরকে। তাতে বলতে শোনা যায়, ’তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার চেয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়ে জেতানো ভালো।’ বেশ কয়েকবার এই কথা বলতে শোনা যায়। যদিও, এই জনসভায় অধীর আরও বলেন, ‘কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের জয়ী হওয়া দরকার। তারা না জয়ী হলে ধর্মনিরপেক্ষতা ঝুঁকির মুখে পড়বে। তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া, তাই বিজেপিকে ভোট দেবেন না, তৃণমূলকে ভোট দেবেন না।’ তবে সেই অংশটি ভাইরাল করা হয়।
পড়ুনঃ ‘তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার থেকে ভাল বিজেপিকে ভোট দিয়ে দেওয়া’, প্রকাশ্যে বলছেন অধীর
এক্স পোস্টে তৃণমূল দাবি করে, বাংলায় বিজেপির চোখ এবং কান হিসাবে কাজ করার পরে, অধীর এখন বাংলায় বিজেপির কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছেন।এর প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছিলেন, তিনি ভিডিয়োটি দেখেননি তাই তিনি জানেন না কোন প্রেক্ষাপটে অধীর এই কথা বলেছেন। তবে তাঁর দলের উদ্দেশ্য হল পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে নির্মূল করা এবং তৃণমূল হল ইন্ডিয়া ব্লকের সদস্য।
প্রসঙ্গত, জঙ্গিপুরের সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমও।