কংগ্রেস আরও ৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে রয়েছে হরিয়ানার গুরুগ্রাম। হরিয়ানায় ৯ টি আসনে লড়ছে কংগ্রেস এবং ১ টি আসনে লড়ছে ইন্ডিয়ার শরিক আপ। এর আগে এখানে ৮টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করলেও গুরুগ্রাম নিয়ে দলের মধ্যেই টানাপোড়েনের কারণে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এবার এই আসনে প্রাক্তন সাংসদ তথা অভিনেতা রাজ বব্বরকে প্রার্থী করল কংগ্রেস। এছড়াও, উত্তর মুম্বই, হামিরপুর ও কাংরা লোকসভা আসনে কারা কংগ্রেসের প্রতীকে লড়বে তা জানিয়ে দিয়েছে হাইকমান্ড। হিমাচল প্রদেশের কাংরা থেকে লড়বেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মা। হামিরপুর আসন থেকে লড়বেন সাতপাল রাইজাদা এবং উত্তর মুম্বই থেকে ভূষণ পাটিল লড়বেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, রাজ বব্বর এবং আনন্দ শর্মা উভয়েই কংগ্রেসের বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং জি-২৩ এর সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২৬ বছর পুরোনো মামলায় রাজ বব্বরের ২ বছরের কারাদণ্ড! জানুন পুরো ঘটনা
এবারের নির্বাচনে গুরুগ্রাম আসনটি বেশ নজরকাড়া হতে চলেছে। রাজ বব্বর উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও এই প্রথম হরিয়ানা থেকে লড়বেন। তাঁকে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডার ঘনিষ্ঠ হিসেবেই ধরা হয়। অন্যদিকে, এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তিন বারের সাংসদ রাও ইন্দ্রজিৎ এবং জেজেপির হয়ে এই কেন্দ্রে নির্বাচনে লড়ছেন গায়ক রাহুল যাদব। ফলে এই কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াই দেখা যাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, গুরুগ্রামে প্রার্থী বাছাই নিয়ে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে সমস্যা চলছিল। এখানে প্রার্থীর দৌড়ে ছিলেন দলের ওবিসি বিভাগের চেয়ারম্যান অজয় যাদব। ২০১৯ সালে সেখানে নির্বাচনে লড়েছিলেন অজয় যাদব। তবে তিনি বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, হরিয়ানায় প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভূপেন্দ্র সিংয়ের সুস্পষ্ট প্রভাব রয়েছে। রাজ বব্বর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রকাশ করা ৮ প্রার্থীর তালিকাতেও ভূপেন্দ্র সিংয়ের প্রভাব দেখা গিয়েছে। তাঁর আস্থাভাজন জয় প্রকাশকে হিসারে প্রাধান্য প্রার্থী করা হয়েছিল। বিধায়ক রাও দান সিং তাঁর বাছাই করা প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন। এছাড়াও সোনিপত, ফরিদাবাদ, কারনাল, রোহতকের মনোনীত প্রার্থীরাও ভূপেন্দ্র সিংয়ের পছন্দ। অন্যদিকে, এবারও আমেঠি ও রায়বেরেলি আসন নিয়ে সাসপেন্স জিইয়ে রাখল কংগ্রেস।