বিজেপির বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও কেন ইন্ডিয়া জোটে নেই অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ)? তা নিয়ে মুখ খুললেন দলের প্রধান তথা অসমের ধুবরির সাংসদ মৌলানা বদরুদ্দিন আজমল। আর তিনি এই বিষয়ে যা উত্তর দিয়েছেন তা অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেসকে। তিনি বলেছেন, হিন্দু ভোটে প্রভাব পড়ার ভয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তাঁর মতো একজন দাড়িওয়ালা এবং টুপি পরা লোককে ইন্ডিয়া জোটে শরিক করেননি। তাঁর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে অসমের রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: ‘এখন যত খুশি বিয়ে করুন, ভোটের পর সব বন্ধ হবে’, ৭৪ বছরের আজমলকে বললেন হিমন্ত
মৌলানা বদরুদ্দিন আজমল বলেছেন, ‘কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ভয় পাচ্ছেন। আমি শরদ পাওয়ার এবং নীতীশ কুমারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাকে সরাসরি বলেছিলেন যে রাহুল গান্ধী চান না আপনি এর অংশ হন। কারণ এটি হিন্দু ভোটারদের প্রভাবিত করবে। তিনি বলেছিলেন যে হিন্দু ভোটাররা দাড়ি এবং টুপি পরা একজন ব্যক্তিকে এর অংশ হিসেবে দেখতে চায় না।’ তবে বদরুদ্দিন আজমল দাবি করেছেন, লোকসভা নির্বাচনের পর ইন্ডিয়া জোটের তাঁকে প্রয়োজন হবে।
মৌলানা বদরুদ্দিন আজমল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, ‘কংগ্রেস দুর্বল হয়ে গিয়েছে। আমার আসনে ক্ষমতাবিরোধী ঢেউ আসতে পারে। আমি আমার কর্মক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।’ হিন্দু ভোট প্রসঙ্গে আজমল বলেন, ‘আমার আজমল ফাউন্ডেশনে পাঠরত শিশুদের অর্ধেকই হিন্দু। তবুও তারা আমাকে সাম্প্রদায়িক বলে।’ এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আজমল। তিনি দাবি করেন, তাঁর দলের কর্মীরা জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
প্রসঙ্গত, অসমে মুসলিম ভোটে বদরুদ্দিনের ভালো প্রভাব রয়েছে। তৃতীয় দফায় অসমে লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। ধুবরি লোকসভা আসন থেকে তিনবারের সাংসদ এবং অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রধান মৌলানা বদরুদ্দিন আজমল আবারও প্রার্থী হয়েছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ইউপিএ-র শরিক হিসেবে লড়েছিলেন। কিন্তু, এবার লোকসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অসমে মুসলিম রাজনীতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত বদরুদ্দিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এবার তিনি পুনরায় জয়ী হলে ৭০০টি মাদ্রাসা তৈরি করবেন। কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘আমি ধুবরির জন্য যা করেছি, কংগ্রেস ১০০ বছরেও তা করতে পারবে না। এবার আমার প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে আসামের জনগণকে নদী ভাঙন থেকে মুক্তি দেওয়া, বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং উন্নত শিক্ষা প্রদান করা।’