আজ শেষ দফায় ভোট চলছে বাংলার ৯ টি কেন্দ্রে। ভোট গ্রহণ শুরুর পরেই সকাল থেকে কোথাও ভোটদানে বাধা, এজেন্টকে বসতে না দেওয়া, মারধর আবার ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ সামনে এসেছে। এবার ইভিএম মেশিনে ব্ল্যাক টেপ লাগানোর অভিযোগ উঠল। বিজেপি এবং সিপিএমের প্রতীকে ব্ল্যাক টেপ লাগানো হয় বলে অভিযোগ। আর তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন সিপিএম সমর্থক। ২০ থেকে ৩০ জন দুষ্কৃতী মিলে তাঁকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূল। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের নাহান্না স্কুলের ৯২ নম্বর বুথে।
আরও পড়ুন: ‘বিপুল পরিমাণ ওয়েব কাস্টিং ক্যামেরা কারচুপি’, মারাত্মক অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু
ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকেই এই বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন পড়েছিল। তখন ভোট দিতে গিয়ে ইভিএম মেশিন দেখে বিস্মিত হয়ে যান সিপিএম সমর্থক আনসার শেখ। তিনি দেখেন ইভিএমে বিজেপি এবং সিপিএমের প্রতীকের কালো টেপ লাগানো রয়েছে। ফলে তিনি ভোট দিতে পারছিলেন না। তখন তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পোলিং অফিসারকে জানান। এরপরে পোলিং অফিসার ব্ল্যাক টেপ খুলে দেন। পরে আনসার শেখ ভোট দিয়ে বেরোতেই তাঁকে ছেঁকে ধরে ২০ থেকে ৩০ জন দুষ্কৃতী।
অভিযোগ, বুথ থেকে রাস্তায় বেরোতেই তাঁর কলার ধরে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে শুরু করে তৃণমূলের কর্মীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরে আহত অবস্থায় তাঁকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন সিপিএম প্রার্থী প্রতীক উর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সিপিএম সমর্থক ভোট দিতে গিয়ে দেখেন ইভিএমে ব্ল্যাক টেপ লাগানো রয়েছে। তিনি তখন এজেন্টকে বলেন। এরপরে এজেন্ট পোলিং অফিসারকে বললে তিনি ইভিএম থেকে ব্ল্যাক টেপ সরিয়ে দেন। এরপর প্রতিবাদ করার জন্য বাইরে বেরোতে তাঁকে মারধর করা হয়।’
বাম প্রার্থীর অভিযোগ, শুধু এখানেই নয় আরও বেশ কিছু বুথ থেকেও এই ধরনের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। অভিষেককে কটাক্ষ করে তাঁর প্রশ্ন, ‘এটাই কি ডায়মন্ড হারবার মডেল? কেন কালো টেপ লাগাতে হচ্ছে? সিপিএমকে এত ভয় পাচ্ছে কেন তৃণমূল।’ তাঁর বক্তব্য, ‘ওই কালো টেপ সাংসদের মুখে ও চোখে মারা উচিত। মানুষ অবাধে ভোট দিতে পারছে না, ভোট লুট করা হচ্ছে আজ গণতন্ত্রের কালো দিন।’