সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হতেই বাংলায় সিংহভাগ আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গণনা শেষ হতে না হতেই বিজয় উল্লাসে মেতে উঠেছে তৃণমূল। তার মধ্যে যাদবপুর আসনেও বহু ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। সেখান তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে থাকতেই সিপিএমের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল। বিজয়গড়ে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি সিপিএমের দুজন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য।
জানা যাচ্ছে, চতুর্থ রাউন্ড শেষ হওয়ার পরেই তৃণমূলের কর্মীরা জয়ের আগাম উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। তারা বিজয়গড়ে সিপিএমের পার্টি অফিসের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে এবং পার্টি অফিস লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। ঘটনায় পার্টি অফিসের জানলা দরজা ভেঙে যায়। এছাড়াও সিপিএমের দুজন কর্মী প্রতিবাদ করতে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, সেখানে পুলিশ ছিল। কার্যত পুলিশের সামনেই তাদের পার্টি হামলা চালানো হয় এবং মারধর করা হয়।
সিপিএমের এক কর্মী জানান, ‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পার্টি অফিসের ওপর হামলা চালানোর সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ছিল। আমরা দেখতে গেলেই আমাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাদের ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। তখন আমাদের পার্টি অফিসের দরজা ভাঙচুর করে। আমাদের দুজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। যার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে সেখানে যান সৃজন। তিনি সেখানে আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।’
পড়ুন: লোকসভার ফলাফল-উত্তরপ্রদেশে মুখ পুড়ল বিজেপির, মান রাখল বিহার
প্রসঙ্গত, এক্সিট পোলের সম্ভাব্য ফলাফল উলটে দিয়ে এখনও পর্যন্ত সিংহভাগ আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ভোটের সম্পূর্ণ ফলাফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। তার আগেই ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। উল্লেখ্য, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে আরও কয়েকদিন মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে শেষ হয়ে যাওয়ার পর কী হবে?