অনুপ্রবেশকারী থেকে দুর্নীতি, বনগাঁয় বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের হয়ে প্রচারে এসে জোড়া ইস্যুতে জোর দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন অমিত শাহ। দুর্নীতি ইস্যুতে সুর চড়া করে জানিয়ে দিলেন, কয়লা চোর, গরু চোর কেউ ছাড়া পাবে না।
সিএএ প্রসঙ্গে আক্রমণ
মতুয়া গড়ে সিএএ প্রধান আলোচিত ইস্যু। সেই জোর দিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘সিএএ নিয়ে ভয় পাবেন না। আপনাদের অ্যাপ্লিকেশন আপলোড করুন। কেউ সমস্যা পড়লে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শাহ বলেন, ‘ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্য দিদি অনুপ্রবেশকারীদের বাংলায় নিয়ে আসছেন। আর তিনি মতুয়া সমাজকে নাগরিকত্ব দিতে চান না। তিনি বলছেন, বাংলায় এটা (সিএএ) করতে দেবেন না। এটা কেন্দ্রের বিষয়।’ তিনি সিএএ আবেদন করার জন্য আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘যদি তা করেন, তাহলে আমাদের শান্তনু ঠাকুর সকলের ঘরে ঘরে গিয়ে সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব দেবেন। আমি সকলকে আস্বস্ত করছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ নিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন। দুনিয়ার কোনও শক্তি আমাদের হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ ভাইদের নাগরিকত্ব পাওয়া থেকে আটকাতে পারবে না।’
আরও পড়ুন। বাড়ি-গাড়ি নেই, আছে ৪ সোনার আংটি! ‘কোটিপতি’ মোদীর ৫ বছরে আয় কত টাকা বেড়েছে?
দুর্নীতি প্রসঙ্গে নিশানা
মঙ্গলবার বনগাঁর সভা থেকে দুর্নীতি নিয়ে সুর চড়া করে অমিত শাহ। তিনি বলেন,'এই অনুব্রত মণ্ডল, কুণাল ঘোষ, তাপস পাল, কুলপতি— কেউ চাকরির বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন, কেউ গরু পাচার মামলায়, কেউ কয়লা পাচার মামলায় জেলে গিয়েছেন।'
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আপনারা কেউ জীবনে একসঙ্গে ৫০ কোটি টাকা দেখেছেন? এদের এক মন্ত্রীর (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা বেরোয়। আমি মমতাদিদিকে বলছি, এই ৫০ কোটি টাকা কার? ওই মন্ত্রীকে জেলে ঢোকানো উচিত নয় কি? মমতাদিদি, এই তো শুরু।’ তিনি জানিয়ে দেন, দুনীর্তির অভিযোগে অভিযুক্ত কাউকে ছাড়া হবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন,'এই তো সবে শুরু, চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি, শিক্ষক দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, পুরসভা নিয়োগে দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচারকাণ্ড, পয়সার বদলে প্রশ্ন করা ব্যক্তিদের কাউকে ছাড়া হবে না।'
ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ
মঙ্গলবারই কল্যাণীর সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইভিএম কারচুপির অভিযোগ করেন। তিনি চতুর্থ দফায় কৃষ্ণনগরের একটি বুথে উদাহরণ তুলে মমতা বলেন, ‘ভোট দিচ্ছে তৃণমূলে যাচ্ছে বিজেপিতে।’ পরে সেই ইভিএম পাল্টে আবার ভোট হয়। তিনি প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণকেও নজর রাখার আহ্বান জানান।
অমিত শাহ এর জবাবে বলেন, ‘মমতা দিদি এখন অভিযোগ করছেন ইভিএম নিয়ে। আমি বলব, আপনি যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখনও একই ইভিএম ছিল। আজ যখন আপনার যাওয়ার পালা, তখন আপনি ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।’