এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় আকর্ষণীয় যে কেন্দ্রগুলি রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হলেন- সৌমিত্র খাঁ এবং তাঁর বিপক্ষে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন- তাঁরই প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। দুজনেই জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। গত শনিবার ষষ্ঠ দফায় ভোট হয়েছে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে। ভোট এখানে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে হলেও এবার এই কেন্দ্রের স্ট্রং রুম থেকে ইভিএম পরিবর্তনের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল। এমন অভিযোগ করেছেন, খোদ বিজেপি প্রার্থী। তারপরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই এবিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভিএমে কেন বিজেপির ট্যাগ? তৃণমূলের নালিশের মোক্ষম জবাব দিল কমিশন
সৌমিত্র খাঁ অভিযোগ তুলেছেন, বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের স্ট্রং রুম থেকে ইভিএম মেশিনগুলি বদলানোর চেষ্টা চলছিল। তবে তিনি সেখানে পৌঁছে যাওয়ায় সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। খোদ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং আইসির বিরুদ্ধে এই কাজ করার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
আগামী ৪ জুন ভোট গণনা। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের ইভিএম মেশিনগুলি রাখা হয়েছে কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্ট্রং রুমে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। আর বাইরে রয়েছে রাজ্য পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরায় মোড়া রয়েছে স্ট্রং রুম। তবে সৌমিত্র খাঁ অভিযোগ করেছেন, পুলিশের যেখানে যাওয়ার কথা নয় সেই দরজার কাছে চলে গিয়েছিল তারা। আসলে সিসিটিভি লাগানোর নাম করে ইভিএম বদলানোর চেষ্টা করছিল। এর জন্য সিআইএসএফের এক আধিকারিকের সঙ্গে অনেক লক্ষ টাকার ডিল হয়েছে বলে সৌমিত্র অভিযোগ তোলেন। তাঁর কথায়, ‘আর ১ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে খেলা শেষ হয়ে যেত।’
এরপরে এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে হারের ভয়ে অনৈতিক উপায় অবলম্বন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
যদিও তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের পালটা দাবি, রবিবার পর্যন্ত নিজে ছিলেন সৌমিত্র খাঁ । কোনও অভিযোগ করলেন না। আর যখন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন, যে তিনি হারছেন তখন ভয়ে তিনি অভিযোগ করেছেন। এই অভিযোগ ওঠার পরেই নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট তলব করেছে। সে ক্ষেত্রে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।