শুক্রবার ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। হাতে আর মাত্র কয়টি দিন। এপ্রিলের ১৯ তারিখ থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে, হাইভোল্টেজ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ৫ এপ্রিল নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের উপস্থিতিতে এই ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে।
কংগ্রেস বলছে, ক্ষমতায় তারা এলে LGBTQIA+ ভূক্তদের আইনি বিবাহে মান্যতা দেওয়ার বিষয়ে তারা লড়বে। এই বিষয়ে এদিন কংগ্রেসের সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়েছে, ‘বিস্তৃত আলোচনার পর, কংগ্রেস LGBTQIA+ সম্প্রদায়ের যুগলদের মধ্যে সিভিল ইউনিয়নকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি আইন আনবে।’ উল্লেখ্য, গত বছর, সমকামী বিবাহকে মান্যতা দেওয়ার মামলায় সুপ্রিম কোর্ট, এই বিয়েকে বৈধতা দেওয়ার আর্জি খারিজ করে দেয়। তবে একই সঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালত তার পর্যবেক্ষণে এই বিষয়টি তুলে ধরে যে, সমলিঙ্গ, সমকামী-ভূক্তদের বিভিন্ন সময়ে সমাজ আলাদা নজরে দেখে। যাতে LGBTQIA+ গোষ্ঠীভূক্তরা সঠিক নিরাপত্তা পান, সেদিকে প্রশাসনকে নজর দেওয়ার জন্যও গত বছর বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় কেন্দ্রের তরফে ‘শহুরে অভিজাত ধারণা’র তত্ত্বকে কোর্ট খারিজ করে দিয়েছিল। সমকামী ও সমলিঙ্গের গোষ্ঠীভূক্ত যুগলদের বিয়ের আর্জি খারিজ করে দিলেও, কোর্ট বলেছিল, একটি একাত্মের সম্পর্কে প্রবেশের ক্ষেত্রে সকল ব্যক্তির স্বাধীনতা সংবিধানের তৃতীয় অংশ দ্বারা সুরক্ষিত, তার মধ্যে রয়েছে এই সমকামী ও সমলিঙ্গের গোষ্ঠীভূক্তরাও। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, ‘সেক্স ওরিয়েন্টেশনের ভিত্তিতে বৈষম্য অনুচ্ছেদ ১৫ লঙ্ঘন করবে।’সেই মামলায় আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি কমিটি গড়ার কথাও বলেছিল।
( Shashi Tharoor Net Worth:শশী থারুরের আচ্ছে দিন, দশ বছরে সম্পত্তির মূল্য বেড়েছে দ্বিগুণের অধিক)
এদিকে, লোকসভা ভোটের আগে, ৫ এপ্রিল কংগ্রেস সামনে আনল তাদের 'ন্যায়পত্র'। 'ন্যায়পত্র' নামাঙ্কিত কংগ্রেসের এই ইস্তেহারে একাধিক চমক রয়েছে। সেখানে 'অগ্নিবীর' নিয়োগ সরিয়ে সেনায় সরাসরি নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ মহালক্ষ্মী স্কিমে দেশের দরিদ্রদের বার্ষিক ১ লাখ টাকা নিঃশর্তে দেওয়ার কথা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ভাষাগত সংখ্যালঘুদের দিকে তাকিয়েও তাঁদের অধিকার রক্ষা নিয়ে সরব হয়েছেন রাহুলরা। এছাড়াও এসসি, এসটি, ওবিসিদের সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলছে কংগ্রেস। ইস্তেহারে কেন্দ্রীয় সরকারি ক্ষেত্রে ৩০ লাখ কর্মসংস্থানের কথা বলেছে এই পার্টি।