সামনেই পঞ্চম দফার ভোট। জোর প্রচার চলছে। তার মধ্য়েই ভোট গণনা নিয়ে বড় আশঙ্কার কথা শোনা গেল বঙ্গ বিজেপির মুখে। বৃহস্পতিবার এনিয়ে নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধিরা। তাতে জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায়, শিশির বাজোরিয়া প্রমুখ ছিলেন।
দুটি বিষয় নিয়ে মূলত আশঙ্কা বঙ্গ বিজেপির। মূলত গত পঞ্চায়েত ভোটে কিছুক্ষেত্রে স্ট্রংরুমে পাহারার ক্ষেত্রে শিথিলতা ছিল বলে দাবি বিজেপির।
অন্যদিকে আর একটা বিষয় নিয়ে কিছুটা আশঙ্কা রয়েছে বিজেপির। সেটা হল অস্থায়ী কর্মীদের নিয়ে কারচুপি করতে পারে তৃণমূল। সেকারণে বিজেপির দাবি একেবারে স্থায়ী সরকারি কর্মীদেরই খালি রাখতে হবে এই গণনার কাজে। অস্থায়ী কর্মীদের রাখা যাবে না।
এনিয়ে জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, এখন থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট গণনার দিনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাতে ভোট গণনা হয় তার অ্যালার্ম বেল বাজিয়ে গেলাম। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট, তার পরবর্তী পুরসভা ভোটের গণনার দিন নানা ধরনের কারচুপি, তছরূপ, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশের মদতে সরকারি কর্মীদের একাংশের মদতে হয়েছিল বলে সকলেই দেখেছে। চার পর্বের নির্বাচনে তৃণমূলের হারের ইতিহাস লেখা হয়েছে। ফলে তৃণমূল এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। স্ট্রং রুম ব্যবস্থার বদল বা গণনার দিনের কিছু পরিকল্পনার কথা আমাদের নজরে এসেছে।
তিনি বলেন, সরকারের ঘর থেকে পিএফ গ্র্যাচুয়িটি পান এমন কর্মীরাই যেন কাউন্টিং হলে থাকেন। আমরা খবর পাচ্ছি বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের সরকারি কর্মীর পরিচয়পত্র দিয়ে কাউন্টিং হলে প্রবেশের চেষ্টা করানো হতে পারে। তাই কোনও চুক্তিভিত্তিক কর্মী যেন গণনাকেন্দ্রের ভেতর না থাকে। শুধুমাত্র স্থায়ী সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের রাখার কথা বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে গণনাকেন্দ্রে, স্ট্রং রুমে পর্যাপ্ত পাহারার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। সেখানে যাতে কোনও গাফিলতি না থাকে সেটা দেখার জন্য় বলা হয়েছে। কারণ পাহারায় কোথাও ফাঁক থাকলেই নানা কারচুপি করতে পারে তৃণমূল, অভিযোগ বিজেপির।