ভোটের রাতেই আইএসএফ প্রার্থীর গাড়ির উপর হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ ভাঙড়ে। জানা গিয়েছে, ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে রাতে ভাঙড় এক নম্বর ব্লকের রানিগাছি এলাকায় আইএসএফ তৃণমূল সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, এরপরে আইএসএফের এজেন্টে তুলে নিয়ে আসে পুলিশ। খবর পেয়ে আইএসএফ প্রার্থী নূর আলম খান ঘটনাস্থলে যান। সেই সময় প্রার্থীর গাড়ি ধাওয়া করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পরে সেই কাচ ভেঙ্গে যাওয়া গাড়িতে করেই ভাঙড় থানায় হাজির হন আইএসএফ প্রার্থী। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুরো ঘটনার বিষয়ে তদন্তে নামে ভাঙড় থানার পুলিশ। (লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার ভোটের যাবতীয় লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন)
এই ঘটনা প্রসঙ্গে আইএসএফ প্রার্থী অভিযোগ করেন, ভোটের আগের রাতে এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আইএসএফ যারা করে, সেই সব পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছিল। আইএসএফ সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছিল। নূর আলম অভিযোগ করেন, আইএসএফ কর্মীদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে থানায় যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই তাঁর গাড়িতে আচমকা আক্রমণ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই হামলার পরে আইএসএফ প্রার্থী দাবি করে, এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ দু্কৃতীদের গ্রেফতার করুক।
এদিকে ভোটের দিন সকালেও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়ের সাতুলিয়া। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভগবানপুর অঞ্চলের সাতুলিয়া এলাকায় আইএসএফ ও সিপিএম কর্মী সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে এখনও পড়ে আছে তাজা বোমা। ঘটনাস্থলে পোলারহাট থানার পুলিশ গিয়ে পৌঁছেছে।
এর আগে গত ২৯ মে ভাঙড় বিধানসভা এলাকায় পৃথক দু'টি ঘটনায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল তৃণমূল ও আইএসএফ। সেদিন কোচপুকুরে আইএসএফ কর্মীদের উপর তৃণমূলের আক্রমণের অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, ভগবানপুরের জিরানগাছায় এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে আইএসএফর বিরুদ্ধে। এরপর ভোটের আগের রাতেও ভাঙড় উত্তপ্ত থাকল। আর আজ সকালেও সেখানে ঝরল রক্ত। এর আগে পুলিশের বিশেষ অবজার্ভার দিল্লি থেকে এসেই প্রথমে ছুটেছিলেন ভাঙড়ে। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের এই বিধানসভা এলাকায় যাতে নির্বিঘ্নে ভোট করানো যায়, তার ওপর বিশেষ নজর রয়েছে কমিনের। তবে তা সত্ত্বেও ভোটের আগের রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়।