লোকসভার ভোটযুদ্ধ ২০২৪
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন শুরু ১৯ এপ্রিল। সাত দফার নির্বাচনে দেশের ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটদান শেষ ১ জুন। ভোটগণনা ৪ জুন। ভারতের পার্লামেন্ট বা সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভা নামে পরিচিত। প্রতি পাঁচ বছরে লোকসভায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। ২০২৪ সালের ভোট হল দেশের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন। দেশের ২৮টি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াকে ঘিরে রয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারি।
কোন রাজ্যে কতগুলি আসন দেখে নেওয়া যাক- উত্তরপ্রদেশে ৮০ টি (সংরক্ষিত ১৭ টি)। উল্লেখ্য, ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই লোকসভার আসন সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মহারাষ্ট্রে ৪৮টি (সংরক্ষিত ৯টি)। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি (সংরক্ষিত ১২টি)। অন্ধ্রপ্রদেশে ৪২টি (সংরক্ষিত ১০টি)। বিহারে ৪০টি (সংরক্ষিত ৬টি)। তামিলনাড়ুতে ৩৯টি (সংরক্ষিত ৭টি)। মধ্যপ্রদেশে ২৯টি (সংরক্ষিত ১০টি)। কর্ণাটকে ২৮টি (সংরক্ষিত ৭টি)। গুজরাট ২৬টি (সংরক্ষিত ৬টি)। রাজস্থানে ২৫টি (সংরক্ষিত ৭টি)। ওড়িশায় ২১টি (সংরক্ষিত ৮টি)। কেরলে ২০টি (সংরক্ষিত ২টি)। তেলাঙ্গানায় ১৭টি(সংরক্ষিত ৫টি)। ঝাড়খণ্ডে ১৪টি (সংরক্ষিত ৬টি)। অসমে ১৪টি (সংরক্ষিত ৩টি)। পঞ্জাবে ১৩টি (সংরক্ষিত ৪টি)। ছত্তিশগড়ে ১১টি (সংরক্ষিত ৫টি)। হরিয়ানায় ১০টি (সংরক্ষিত ২টি)। উত্তরাখণ্ডে ৫টি (সংরক্ষিত ১টি)। হিমাচল প্রদেশে ৪টি (সংরক্ষিত ১টি)। অরুণাচল প্রদেশে ২ টি (সংরক্ষিত আসন নেই)। মেঘালয়ে ২টি (সবকটি সংরক্ষিত)। গোয়ায় ২টি (সংরক্ষিত আসন নেই)। ত্রিপুরায় ২টি (সংরক্ষিত ১টি)। মণিপুরে ২টি (সংরক্ষিত ১টি)। মিজোরামে ১টি (সংরক্ষিত ১টি)। নাগাল্যান্ডে ১টি (সংরক্ষিত আসন নেই) এবং সিকিমে ১টি (সংরক্ষিত আসন নেই)।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কতগুলি আসন? জম্মু ও কাশ্মীরে ৬টি (সংরক্ষিত আসন নেই)। দিল্লিতে ৭টি (সংরক্ষিত আসন ১টি)। পুদুচেরিতে ১টি (সংরক্ষিত আসন নেই)। লাক্ষাদ্বীপে ১টি (এটি সংরক্ষিত আসন)। চণ্ডীগড়ে ১টি (সংরক্ষিত আসন নেই)। দাদরা ও নগর হাভেলিতে ১টি (আসনটি সংরক্ষিত)। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ১ টি ( আসন সংরক্ষিত নেই)। দমন ও দিউতে ১টি (সংরক্ষিত নেই)।
পশ্চিমবঙ্গে ৭ দফায় লোকসভা নির্বাচনের কেন্দ্র অনুযায়ী রইল তালিকা- বাংলায় প্রথম দফার ভোটের তারিখ ১৯ এপ্রিল। এই দফায় মধ্যে থাকা বাংলার আসনগুলি হল-কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি। দ্বিতীয় দফার ভোট ২৬ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফার মধ্যে থাকা বাংলার কেন্দ্রগুলি হল-দার্জিলিং, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাট। ৭ মে তৃতীয় দফার ভোট। এই দফায় বাংলার কেন্দ্রগুলি হল- মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ। চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের তারিখ ১৩ মে। এই দফায় থাকা বাংলার ৮টি লোকসভা কেন্দ্র হল- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান-পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর ও বীরভূম পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের তারিখ ২০ মে। এই দফায় কেন্দ্রগুলি হল- বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি ও আরামবাগ। ষষ্ঠ দফার ভোট ২৫ মে। এই দফাতেও থাকা ৮ টি কেন্দ্রের নাম হল -তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর। সপ্তম এবং শেষ দফার ভোটগ্রহণের তারিখ হল ১ জুন। দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ এবং কলকাতা উত্তর এই মোট ৯ আসনে শেষ দফার ভোট। অর্থাৎ সপ্তম দফাতেই বাংলার সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রে ভোট।
কোন রাজ্যে কতগুলি আসন দেখে নেওয়া যাক- উত্তরপ্রদেশে ৮০ টি (সংরক্ষিত ১৭ টি)। উল্লেখ্য, ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই লোকসভার আসন সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মহারাষ্ট্রে ৪৮টি (সংরক্ষিত ৯টি)। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি (সংরক্ষিত ১২টি)। অন্ধ্রপ্রদেশে ৪২টি (সংরক্ষিত ১০টি)। বিহারে ৪০টি (সংরক্ষিত ৬টি)। তামিলনাড়ুতে ৩৯টি (সংরক্ষিত ৭টি)। মধ্যপ্রদেশে ২৯টি (সংরক্ষিত ১০টি)। কর্ণাটকে ২৮টি (সংরক্ষিত ৭টি)। গুজরাট ২৬টি (সংরক্ষিত ৬টি)। রাজস্থানে ২৫টি (সংরক্ষিত ৭টি)। ওড়িশায় ২১টি (সংরক্ষিত ৮টি)। কেরলে ২০টি (সংরক্ষিত ২টি)। তেলাঙ্গানায় ১৭টি(সংরক্ষিত ৫টি)। ঝাড়খণ্ডে ১৪টি (সংরক্ষিত ৬টি)। অসমে ১৪টি (সংরক্ষিত ৩টি)। পঞ্জাবে ১৩টি (সংরক্ষিত ৪টি)। ছত্তিশগড়ে ১১টি (সংরক্ষিত ৫টি)। হরিয়ানায় ১০টি (সংরক্ষিত ২টি)। উত্তরাখণ্ডে ৫টি (সংরক্ষিত ১টি)। হিমাচল প্রদেশে ৪টি (সংরক্ষিত ১টি)। অরুণাচল প্রদেশে ২ টি (সংরক্ষিত আসন নেই)। মেঘালয়ে ২টি (সবকটি সংরক্ষিত)। গোয়ায় ২টি (সংরক্ষিত আসন নেই)। ত্রিপুরায় ২টি (সংরক্ষিত ১টি)। মণিপুরে ২টি (সংরক্ষিত ১টি)। মিজোরামে ১টি (সংরক্ষিত ১টি)। নাগাল্যান্ডে ১টি (সংরক্ষিত আসন নেই) এবং সিকিমে ১টি (সংরক্ষিত আসন নেই)।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কতগুলি আসন? জম্মু ও কাশ্মীরে ৬টি (সংরক্ষিত আসন নেই)। দিল্লিতে ৭টি (সংরক্ষিত আসন ১টি)। পুদুচেরিতে ১টি (সংরক্ষিত আসন নেই)। লাক্ষাদ্বীপে ১টি (এটি সংরক্ষিত আসন)। চণ্ডীগড়ে ১টি (সংরক্ষিত আসন নেই)। দাদরা ও নগর হাভেলিতে ১টি (আসনটি সংরক্ষিত)। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ১ টি ( আসন সংরক্ষিত নেই)। দমন ও দিউতে ১টি (সংরক্ষিত নেই)।
পশ্চিমবঙ্গে ৭ দফায় লোকসভা নির্বাচনের কেন্দ্র অনুযায়ী রইল তালিকা- বাংলায় প্রথম দফার ভোটের তারিখ ১৯ এপ্রিল। এই দফায় মধ্যে থাকা বাংলার আসনগুলি হল-কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি। দ্বিতীয় দফার ভোট ২৬ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফার মধ্যে থাকা বাংলার কেন্দ্রগুলি হল-দার্জিলিং, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাট। ৭ মে তৃতীয় দফার ভোট। এই দফায় বাংলার কেন্দ্রগুলি হল- মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ। চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের তারিখ ১৩ মে। এই দফায় থাকা বাংলার ৮টি লোকসভা কেন্দ্র হল- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান-পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর ও বীরভূম পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের তারিখ ২০ মে। এই দফায় কেন্দ্রগুলি হল- বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি ও আরামবাগ। ষষ্ঠ দফার ভোট ২৫ মে। এই দফাতেও থাকা ৮ টি কেন্দ্রের নাম হল -তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর। সপ্তম এবং শেষ দফার ভোটগ্রহণের তারিখ হল ১ জুন। দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ এবং কলকাতা উত্তর এই মোট ৯ আসনে শেষ দফার ভোট। অর্থাৎ সপ্তম দফাতেই বাংলার সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রে ভোট।
পাটনা সাহিব দেশের জনাদেশ
আরও দেখুন
নির্বাচনী এলাকা ও প্রার্থী
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনও হয়েছিল ৭ দফায়। তখনও বাংলায় ৭ দফাতেই হয়েছিল নির্বাচন। এবারও বাংলায় ৭ দফাতেই ভোটগ্রহণ। এছাড়া, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারেও ৭ দফায় ভোটগ্রহণ। ২০২৪ সালের লোকসভায় কয়েকটি হেভিওয়েট কেন্দ্র দেখে নেওয়া যাক- এবারও উত্তরপ্রদেশের বারাণসী কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে এই আসন থেকে পরপর দু'বার জয়ী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পরাজিত করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির শালিনী যাদব। সেবারও বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ফলে এই আসনটির উপরেই সবচেয়ে বেশি নজর আমজনতা থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদদের।
২০২৪-এর নির্বাচনেও গুজরাটের গান্ধীনগরের বিজেপি প্রার্থী অমিত শাহ। বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি গুজরাটের গান্ধীনগর আসনটি। ২০১৯ সালে এই আসন থেকেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে শুধু শাহ নয়, এর আগে এই আসনে একাধিকবার জয়ী হয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী। এমনকী এই আসনে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী।
অন্যদিকে, লখনউ থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন রাজনাথ সিং। এদিকে, ২০১৯ সালে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আমেঠিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। তাই ২০২৪ সালেও দল তাঁকে এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে। চব্বিশের লোকসভায় কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- রাহুল গান্ধী, শশী থারুর, কেসি ভেনুগোপাল, ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল প্রমুখ।
বাংলার নজরকাড়া কয়েকটি আসন- ২০২৪ সালের নির্বাচনে বাংলার গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল উত্তর কলকাতা, ডায়মন্ড হারবার, বহরমপুর, ঘাটাল, তমলুক, কৃষ্ণনগর, বসিরহাট, মালদা উত্তর প্রভৃতি। ২০২৪ সালেও কলকাতা উত্তর থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে তৃণমূল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করা হয় তৃণমূল থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া নেতা তাপস রায়কে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন বিজেপি প্রার্থীকে ১.২৭ লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজিত করছিলেন।
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে এবারও তৃণমূলের প্রার্থী দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকে এবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বিপক্ষে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। সিপিএমের প্রার্থী আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে চব্বিশের নির্বাচনে ফের কৃষ্ণনগর থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল। এছাড়াও, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হল বহরমপুর। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বহরমপুর। ১৯৯৯ সাল থেকে সেখানে টানা সাংসদ রয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর বিপক্ষে এবার তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয় প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। ফলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উল্লেখ্যযোগ্য হল এই আসনটি। এদিকে, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হল বসিরহাট। সম্প্রতি, সন্দেশখালি ইস্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে উঠেছিলও রাজ্য রাজনীতি। সন্দেশখালির আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ সেই রেখা পাত্র এবার বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের জন্য মোট ভোটারের সংখ্যা হল ৯৭ কোটি। ভোট গ্রহণের জন্য বুথের সংখ্যা হল ১০.৫ লাখ। এছাড়াও, চব্বিশের লোকসভায় ইভিএমের সংখ্যা ৫৫ লাখের বেশি। সবমিলিয়ে ভোটের কাজে নিযুক্ত ১.৫ কোটি বুথকর্মী এবং সুরক্ষা বাহিনী ও আধিকারিকরা।
২০২৪-এর নির্বাচনেও গুজরাটের গান্ধীনগরের বিজেপি প্রার্থী অমিত শাহ। বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি গুজরাটের গান্ধীনগর আসনটি। ২০১৯ সালে এই আসন থেকেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে শুধু শাহ নয়, এর আগে এই আসনে একাধিকবার জয়ী হয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী। এমনকী এই আসনে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী।
অন্যদিকে, লখনউ থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন রাজনাথ সিং। এদিকে, ২০১৯ সালে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আমেঠিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। তাই ২০২৪ সালেও দল তাঁকে এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে। চব্বিশের লোকসভায় কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- রাহুল গান্ধী, শশী থারুর, কেসি ভেনুগোপাল, ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল প্রমুখ।
বাংলার নজরকাড়া কয়েকটি আসন- ২০২৪ সালের নির্বাচনে বাংলার গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল উত্তর কলকাতা, ডায়মন্ড হারবার, বহরমপুর, ঘাটাল, তমলুক, কৃষ্ণনগর, বসিরহাট, মালদা উত্তর প্রভৃতি। ২০২৪ সালেও কলকাতা উত্তর থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে তৃণমূল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করা হয় তৃণমূল থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া নেতা তাপস রায়কে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন বিজেপি প্রার্থীকে ১.২৭ লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজিত করছিলেন।
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে এবারও তৃণমূলের প্রার্থী দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকে এবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বিপক্ষে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। সিপিএমের প্রার্থী আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে চব্বিশের নির্বাচনে ফের কৃষ্ণনগর থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল। এছাড়াও, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হল বহরমপুর। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বহরমপুর। ১৯৯৯ সাল থেকে সেখানে টানা সাংসদ রয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর বিপক্ষে এবার তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয় প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। ফলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উল্লেখ্যযোগ্য হল এই আসনটি। এদিকে, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হল বসিরহাট। সম্প্রতি, সন্দেশখালি ইস্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে উঠেছিলও রাজ্য রাজনীতি। সন্দেশখালির আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ সেই রেখা পাত্র এবার বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের জন্য মোট ভোটারের সংখ্যা হল ৯৭ কোটি। ভোট গ্রহণের জন্য বুথের সংখ্যা হল ১০.৫ লাখ। এছাড়াও, চব্বিশের লোকসভায় ইভিএমের সংখ্যা ৫৫ লাখের বেশি। সবমিলিয়ে ভোটের কাজে নিযুক্ত ১.৫ কোটি বুথকর্মী এবং সুরক্ষা বাহিনী ও আধিকারিকরা।