বারাসত কেন্দ্রের পর এবার যাদবপুর কেন্দ্রেও অস্বস্তিতে বিজেপি। হঠাৎ করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে যোগ দিলেন বিজেপি নেতা অবনী মণ্ডল। অথচ যাদবপুরে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে তিনি জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছিলেন। কিন্তু, হঠাৎ করে দিন চারেক আগে আলিপুর জেলা শাসকের কার্যালয়ে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়ন জমা দিয়ে এসেছেন। যা নিয়ে এই মুহূর্তে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনীতিতে। হঠাৎ করে কেন বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করা নেতা নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর কেন্দ্রটি হল রাজ্যের লোকসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন সায়নী ঘোষ, বাম প্রার্থী হয়েছেন সৃজন ভট্টাচার্য আর বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, অবনী মণ্ডল ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন শিক্ষানুরাগী মানুষ হিসেবেই পরিচিত। ভাঙড়ের রাজনীতিতে বেশ ভালোই প্রভাব রয়েছে এই বিজেপি নেতার। এক সময় ১৯৯৩ সালে ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। পরে বিজেপির ২ নম্বর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন, জেলা কমিটির সম্পাদকের দায়িত্বও সামলেছেন। আর বর্তমানে তিনি বিজেপির যাদবপুর সংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিজেপি নেতা বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ভাঙড় বিধানসভা থেকে তিনি ভোটে লড়েছিলেন। ফলে এই অবস্থায় হঠাৎ করে বিজেপির নেতা নির্দল হয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেন তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন? সে ক্ষেত্রে কি দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে নাকি অন্য কোনও কারণে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন? তা নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।
যদিও অবনী বাবু জানিয়েছেন, এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, অবনী বাবু বিজেপিতে যোগ্য সম্মান পাচ্ছিলেন না। তাই নির্দল প্রার্থী হিসেবেই তিনি বিজেপিকে বার্তা দিতে চাইছেন তিনি। যদিও তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, তাতে লাভ কিছুই হবে না মানুষ ঘাসফুলকে বেছে নেবেন।