নির্বাচনী বিজ্ঞাপন মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি। সিঙ্গল বেঞ্চের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। তবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেনি। আর এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টে বিজেপির তরফে মামলাটি দ্রুত শুনানি জন্য আবেদন জানানো হয়। যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে মামলাটির দ্রুত শুনানি হবে কিনা তা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: BJP'র বিজ্ঞাপনে বহাল থাকল নিষেধাজ্ঞা, 'লক্ষ্মণরেখা' মনে করাল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ
সূত্রের খবর, বিজেপির তরফে আইনজীবী সৌরভ মিশ্র সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আবেদন জানান। দ্রুত শুনানির বিষয়ে প্রথমে আপত্তি জানান বিচারপতি ত্রিবেদী। তিনি বলেন, ‘ছুটির পর নিয়মিত বেঞ্চে মামলাটি সরিয়ে নিন।’ তবে দ্রুত শুনানির জন্য আইনজীবী জোর দিতে থাকলে বিচারপতি জানান, বিবেচনা করে দেখা হবে।
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপিকে অবমাননাকর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখার একক বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেনি। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জোর দিয়েছিল, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে স্বাস্থ্যকর নির্বাচনী বিধি মেনে চলা উচিত। তবে ডিভিশন বেঞ্চ বিজেপিকে জানিয়েছিল, তারা চাইলে সিঙ্গল বেঞ্চে গিয়ে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে পারবে। কিন্তু, এবার একেবারে শীর্ষ আদালতে গেল বিজেপি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে দুটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে বিজেপি। একটিতে স্লোগান ছিল ‘দুর্নীতির মূল মানে তৃণমূল’, আর অন্যটিতে স্লোগান ছিল ‘সনাতন বিরোধী তৃণমূল’। তাতে আপত্তি তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তার আগে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিযোগ তুলে শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল।
সেই মামলায় নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করার পাশাপাশি বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছিলেন, এই বিজ্ঞাপনের ফলে মামলকারীর সংবিধানের ১৯ এবং ২১ ধারায় প্রাপ্ত অধিকার হরণ করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি এই ধরনের বিজ্ঞাপন ছাপার বিষয়েও সংবাদ মাধ্যমগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার ১৯৯৬ সালের গাইডলাইন মেনে চলার জন্য সংবাদপত্রগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ভট্টাচার্য।