কিছুদিন আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির বিদায়ী সাংসদ জয়ন্ত সিনহার ছেলে আরিশ সিনহা। আর এবার ভোট না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জয়ন্ত সিনহার বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে তিনি সাংগঠনিক কাজ এবং প্রচারে অংশগ্রহণ করছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। তারপরেই জয়ন্ত সিনহাকে শোকজ নোটিশ পাঠালো বিজেপি।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিজেপি MP জয়ন্তের পুত্র আরিশ, অস্বীকার করলেন দাদু যশবন্ত
বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের তরফে জয়ন্ত সিনহাকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, ‘মণীশ জয়সওয়ালকে প্রার্থী করার পর থেকে আপনি সাংগঠনিক কাজ এবং নির্বাচনী প্রচারে ঠিকমতো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এমনকী আপনি আপনার ভোট দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। আপনার আচরণের ফলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।’ এসবের ভিত্তিতে জয়ন্ত সিনহাকে ২ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। জয়ন্তকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে। যদিও বিদায়ী সাংসদ এখনও পর্যন্ত নোটিশের জবাব দেননি। তবে এরফলে ভোটের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য বিজেপি।
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসে জয়ন্ত সিনহা বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, তিনি এবার নির্বাচনে লড়তে চান না। তিনি দেশে এবং সারা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান। ফলে পুত্র আরিশকে প্রার্থী করা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে তার পরিবর্তে হাজারিবাগ থেকে এবার বিধায়ক মণীশ জয়সওয়ালকে প্রার্থী করে বিজেপি। তারপরেই দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন জয়ন্ত সিনহার পুত্র। বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, জয়ন্ত সিনহা এবার প্রার্থী না হওয়ায় তাঁর অনুগামীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, জয়ন্ত সিনহা হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহার পুত্র। ১৯৯৮ সালের পর থেকে প্রতিটি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা যশবন্ত সিনহার পরিবারের কোনও না কোনও সদস্য। তবে এই প্রথম তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে নেই। আরিশ সিনহা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ফলে সেখানকার বিজেপি ভোটে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, সোমবার হাজারিবাগ কেন্দ্রে পঞ্চম দফায় ভোট হয়েছে। এখানে ভোট পড়েছে ৬৪.৩২ শতাংশ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল সাহুকে ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ভোটে পরাজিত করে জয়ী হয়েছিলেন জয়ন্ত সিনহা।