শেষ দফার ভোটে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে বসিরহাটের অন্তর্গত হাড়োয়াতে গুরুতর সন্ত্রাসের অভিযোগ সামনে এল। ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। আর তারফলে ভোট না দিয়েই ফিরে যেতে হল ভোটারদের। এমন অবস্থায় বিজেপি নেতাকে জড়িয়ে ধরে হাউ হাউ করে কান্না করতে দেখা গেল এক বিজেপি সমর্থককে। ঘটনাকে কেন্দ্র ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
আরও পড়ুন: বুথের বাইরে অবৈধ জমায়েত সরাতে গিয়ে সৃজনকে ঘিরে বিক্ষোভ, উত্তেজনা বারুইপুরে
জানা যাচ্ছে, এদিন ভোট দিতে পারেননি ওই বিজেপি সমর্থক। তখন তিনি বিজেপি নেতা কাসেম আলিকে সামনে পেয়ে তাঁকে ধরে বলেন, ‘আমাকে বাঁচান, আমাকে মেরে ফেলবে। আমাকে ভোট দিতে দিল না।’ হাড়োয়ার ব্লক সভাপতি খালেক মোল্লার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন ওই ভোটার। ভোটারের চারপাশে তখন ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও অন্যান্য ভোটাররা। বিজেপি নেতা বার বার আশ্বস্ত করে বলেন, তিনি ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। তারপরেও বেশ কিছুক্ষণ কাঁদতে দেখা যায় ওই ভোটারকে।
ওই যুবকের অভিযোগ, খালেক মোল্লা এবং তাঁর দল তাকে ভোট দিতে দেয়নি। বুথে যাওয়ার আগেই তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। তিনি একজন ভোটার। কিন্তু, বুথে যেতে চাইলে তাকে আটকানো হয়। যুবকের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের জন্য তিনি গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। এই বলার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই বিজেপি সমর্থক। কার্যত বিজেপি নেতার পা তিনি বলেন, ‘আমাকে বাঁচান। আমার গণতন্ত্রকে ওরা হত্যা করেছে তৃণমূলের খালেক মোল্লার হার্মাদ বাহিনী।’ ভোটার কার্ড দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি একজন নাগরিক। তাও আমাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। আমার জামা কাপড় টেনে দিয়েছে। আমাকে ওরা মারধর করেছে।’
ভোটারের আরও অভিযোগ, খালেক মোল্লার প্রচুর টাকা তছরুপ করে প্রচুর সম্পত্তি বানিয়েছে। তিনি খালেকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই ভোটার। অন্যদিকে, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। হাড়োয়া এক নম্বর ব্লক তৃণমূলের যুব সম্পাদক তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিজেপি ভালোমতোই বুঝতে পেরেছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তাদের প্রার্থী রেখা পাত্র জিততে পারবেন না।তারজন্য বিজেপি এসব মিথ্যা নাটক করে বাজার গরম করতে চাইছে।