এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির একটি নতুন প্রতিশ্রুতি সামনে এসেছে। সেটি হল ভারতে মার্কিন দূতাবাসের সংখ্যা বাড়ানো। সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে প্রথম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিদায়ী সাংসদ তথা কর্ণাটকের বিজেপি প্রার্থী তেজস্বী সূর্য। তিনি বলেছিলেন, জয়ী হলে বেঙ্গালুরুতে মার্কিন দূতাবাস খোলা হবে। আর এবার অমৃতসরের বিজেপি প্রার্থী তারানজিৎ সিং সান্ধু এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি, তিনি নির্বাচন জয়ী হলে অমৃতসরে একটি মার্কিন দূতাবাস খোলা হবে।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত যোগ দিলেন বিজেপিতে, কর্মরত ছিলেন আমেরিকায়
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতে চারটি মার্কিন দূতাবাস রয়েছে। সেগুলি মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই এবং হায়দরাবাদে অবস্থিত। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে গেলে ভিসার জন্য ভিন রাজ্যের মানুষদের এই সমস্ত জায়গাগুলিতে যেতে হয়। তাতে অনেক সমস্যা হয়। এই অবস্থায় ভারতে মার্কিন দূতাবাস বাড়ানোর দাবি দীর্ঘদিনের।
অমৃতসর আসন থেকে শুক্রবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারানজিৎ। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে তিনি বেঙ্গালুরুর পাশাপাশি অমৃতসরে মার্কিন দূতাবাস খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। একটি রোড শো করে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন রোড শো চলাকালীন এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘বর্তমানে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এগিয়ে চলেছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে। সেজন্য আমি মনে করি ভবিষ্যতে ভারতে আরও মার্কিন দূতাবাস খোলা প্রয়োজন। অমৃতসরে মার্কিন দূতাবাস খোলা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অমৃতসরে অনেকগুলি সমস্যা রয়েছে, যেগুলি নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন। তাই বিজেপির প্রার্থীকে জিতিয়ে আপনাদের কথা বলার জন্য দিল্লিতে পাঠান।’ অমৃতসরের বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘আমি ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটির সঙ্গে এ বিষয়ে আগেই কথা বলেছি। তিনি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি সুপারিশ করবেন বলে জানিয়েছেন।’ শুধু তাই নয়, বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। তিনিও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, তারানজিৎ আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। আমেরিকার সিয়াটেল শহরে ভারতীয় দূতাবাস খোলার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এর পাশাপাশি ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে অনেক চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য ফাইটার জেট ইঞ্জিন তৈরিতে তিনি বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরুর বাসিন্দাদের দীর্ঘদিন ধরেই দাবি ছিল সেখানে মার্কিন দূতাবাস খোলা হোক। এখানকার প্রচুর লোকজন আমেরিকায় থাকেন বা যাতায়াত করেন। সেক্ষেত্রে তাদের ভিসার জন্য ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হয়। এর জন্য যেমন ২-৩ দিন সময় লেগে যায়, তেমনি অতিরিক্ত ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপরে তেজস্বী সূর্য সেখানে মার্কিন দূতাবাস খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।