উলুবেড়িয়ায় মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার ঘটনায় আগেই পদক্ষেপ করেছিল নির্বাচন কমিশন। ভোটের দায়িত্ব থেকে অপসারিত হয়েছিল সেই অভিযুক্ত জওয়ান। এবার সেই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলল বিএসএফ। এই বিষয়ে বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনা প্রসঙ্গে তারা অবগত। বিষয়টি নিয়ে বাহিনীর তরফ থেকে এই নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বিএসএফ। পাশাপাশি বিএসএফ বলেছে, এটি একটি পেশাদার বাহিনী এবং এর কর্মীদের দ্বারা শৃঙ্খলাভঙ্গকে কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। (আরও পড়ুন: মমতাকে নিয়ে 'কুরুচিকর' মন্তব্য নিয়ে কমিশনের শোকজের জবাব অভিজিতের)
আরও পড়ুন: BJP নেতার থেকে ৩৫ লাখ মিলতেই SP বদল? অভিষেকের অভিযোগের পর সামনে এল নয়া দাবি
এর আগে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠতেই কড়া পদক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন। ভোটের একদিন আগে রবিতে এই যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয় বাংলায়। এই ঘটনা নিয়ে কমিশনকে অভিযোগও জানানো হয়েছিল। এই আবহে অভিযুক্ত জওয়ানকে সরানো হয় দায়িত্ব থেকে। অপরদিকে ৩৪১, ৩৫৪ এবং ৫০৯ ধারায় উলুবেড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সেই অভিযুক্ত জওয়ানের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী মহিলা জানায়, সেই জওয়ান কথা বলতে বলতে আচমকাই তাঁর কাছে চলে আসে এবং তাঁর কাঁধে হাত দিয়ে অভব্য আচরণ করে। (আরও পড়ুন: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় এল বড় বদল, দিশা দেখাবে কলকাতার বাকি রুটগুলিকেও)
আরও পড়ুন: 'আমার জীবনে রামকৃষ্ণ মিশনের অবদান...', মমতার তোপের পালটা 'আবেগ কার্ড' মোদীর
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিএসএফ-এর জি/৯৬ ব্যাটালিয়নের জওয়ানের বিরুদ্ধে এই যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত জওয়ানের নাম যোগীন্দর পাল। অভিযোগ, এক মহিলা রবিবার উলুবেড়িয়ার চণ্ডীপুর অঞ্চলে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর দু’জন জওয়ান অভিযোগকারী মহিলার শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। এর মধ্যে যোগীন্দর পালের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পুলিশের কাছে। এদিকে ওই জওয়ানকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কর্মী সংখ্যা কমলেও ক্রমে 'স্মার্ট' হচ্ছে কলকাতা মেট্রো, সামনে এল নয়া তথ্য
এই যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, 'যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রক্ষক করে বাংলায় পাঠানো হচ্ছে, তাঁরাই বাংলার মহিলাদের শ্লীলতাহানি করছেন? যৌন নির্যাতন করছেন। উলুবেড়িয়ায় যা হয়েছে তাকে কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে দেখা ঠিক নয়। বিজেপি জানে বাংলায় তৃণমূলের শক্তি মহিলারা। তাঁদের ভোটেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনে জেতেন। আর তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে সেই মহিলাদেরই ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে।'