বিজেপির বিজ্ঞাপন মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। সুতরাং চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। লোকসভা নির্বাচন এখন সারা দেশে চলছে। আর সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভুয়ো বিজ্ঞাপন দেয় বিজেপি বলে অভিযোগ। আর তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মামলা করতেই ওই বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ওই বিজ্ঞাপনগুলি সরিয়ে দিতে হবে। বিজেপির নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সেই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চেও লাভ হল না বিজেপির। আজ, বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম কলকাতা শহরের দেওয়াল লিখনের কথা উল্লেখ করেন পর্যবেক্ষণে।
এই আবহে কলকাতা শহরের নানা জায়গায় দেওয়াল লিখন হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন আসে যায় অথচ সেই দেওয়াল লিখন মোছা হয় না বলে অভিযোগ। এবার প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণেও তা উঠে এল। বিজেপির ওই বিজ্ঞাপন মামলার শুনানির পরই এই পর্যবেক্ষণ শোনা যায়। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নির্বাচন এলে শহরের দেওয়ালে নিজেদের বক্তব্য এবং চিহ্ন এঁকে মানুষের সামনে তুলে ধরে। কিন্তু নির্বাচন শেষ হয়ে ফলাফল বেরিয়ে যাওয়ার পরও সেই দেওয়াল লিখন পড়ে থাকে। সেটা মোছা হয় না। যা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: বাড়ির লেটার বক্সে চিঠি ফেলে গৃহত্যাগ স্কুলপড়ুয়ার, কোথায় গেল? খোঁজ শুরু উত্তরপাড়ায়
বিজেপির বিজ্ঞাপন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি একেবারেই সাড়া দেননি। বরং তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে আবার সিঙ্গল বেঞ্চে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে পারে বিজেপি। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম উল্লেখ করেন, নির্বাচনের মরশুমে দেশের নানা জায়গায় হোর্ডিং বা মূর্তি ঢেকে দেওয়া হয়। যাতে ভোটাররা প্রভাবিত না হন। কিন্তু কলকাতায় সেটা হয় না। তিনি বলেন, ‘কলকাতায় এসে দেখলাম দেওয়াল লিখন মোছা হয় না। মালা রায়ের নামে দেড় বছর আগে একটি দেওয়াল লিখন রয়েছে। সেটা কিন্তু মোছা হয়নি।’ প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ঠিক বিপরীতেই সেই দেওয়াল লিখন আছে বলে জানান তিনি।
এই দেওয়াল লিখন কার্যত দৃশ্য দূষণ বলে অনেকে মনে করেন। লোকসভা নির্বাচনের মরশুমেও কলকাতা শহরের নানা প্রান্তে দেওয়াল লিখন হয়েছে। তার মধ্যে পঞ্চম দফা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ পর্ব হয়ে গিয়েছে। ষষ্ঠ দফার নির্বাচন নিয়ে এখন সব রাজনৈতিক দল প্রস্তুতি নিচ্ছে। তখন এই প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে বিজেপির ওই বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রধান বিচারপতি কড়া ভাষায় বলেন, ‘আপনারা তো জাতীয় দল। যদি কোনও বিজ্ঞাপন দিতেই হয়, তাহলে সেটা প্রকাশ্যে নিয়ে আসা উচিত। আগে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেওয়া উচিত। আমরা এসব ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আপনারা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে পারেন।’