হাতে আর তিন দিন। তারপরই বাংলায় সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ–পর্ব শুরু হবে। আর তার আগে জেলা পুলিশকে ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। আসলে জেলায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সভা করতে চেয়ে অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সেই সভার অনুমতি দেয়নি জেলা পুলিশ। তাই সভার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। এবার সেই সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তাতে খানিকটা ব্যাকফুটে গেল জেলা পুলিশ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ মিছিল করতে চেয়েছিল। সেই মিছিলে অনুমতি দেয়নি জেলা পুলিশ বলে অভিযোগ। তবে এবার মিছিলে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে আগামীকাল বুধবার পাণ্ডবেশ্বর রেলস্টেশন থেকে ফুলবাগান দুর্গা মন্দির পর্যন্ত মিছিল করবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আর সভা করার কথা আছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চ সেই মিছিল এবং সভার অনুমতি দিয়েছে। তাতেই সভা করার অনুমতি মিলেছে।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপির বেশি সাফল্য আসবে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই’, মোদীর সমালোচনায় বাম– কংগ্রেস–তৃণমূল
অন্যদিকে এই অনুমতি না পাওয়ার ঘটনায় জেলা পুলিশের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এই মামলায় আজ জেলা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ভর্ৎসনাও করেন বিচারপতি। পুলিশের এই আচরণ নিয়ে বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘জেলায় পুলিশ নিজেকে সর্বেসর্বা মনে করে।’ এদিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মামলার শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, যেহেতু লোকসভা নির্বাচন চলছে, তাই এখন সভা ও মিছিলের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, তাদের কোনও আপত্তি নেই। এই মিছিলের সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই।
যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ সাধারণত মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আন্দোলন করছিল। কলকাতার রাজপথে সে আন্দোলন সকলেই দেখেছেন। এবার লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে তারা সভা করতে চায়। যাতে আপত্তি ছিল জেলা পুলিশের। তাই এই নিয়ে মামলা হয়। আর এবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কর্মসূচিতে সবুজ সংকেত দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ পাণ্ডবেশ্বর স্টেশন থেকে ফুলবাগান দুর্গা মন্দির পর্যন্ত ওই মিছিল এবং সভা করতে পারবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।