বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি শেখ নুরুল ইসলাম। আর দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়। দুজনেরই মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে একেবারে উঠেপড়ে লেগেছিলেন। তবে দিনের শেষ নিট ফল শূন্য। হতাশ বিজেপি শিবির। নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে কারোরই মনোনয়ন বাতিল হয়নি।
কার্যত শেষ পর্যন্ত মুখ পুড়ল বিজেপির। কমিশন জানিয়েছে তাদের মনোনয়নে কোনও ত্রুটি ছিল না। সেক্ষেত্রে তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়নি।
বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নো ডিউজ সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। তাদের দাবি বীরভূমে আগের প্রার্থী দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল সেই একই অভিযোগ ছিল নুরুলের বিরুদ্ধেও। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছিলেন মালা রায় কলকাতার পুরসভার চেয়ারপার্সন পদ থেকে পদত্যাগ না করেই লোকসভা ভোটের প্রার্থী পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সেকারণে তাঁর মনোনয়ন বাতিলের আবেদন করা হয়েছিল বিজেপির তরফে।
এনিয়ে নানা চেষ্টা করেছিল বিজেপি। নানা বক্তব্য হাজির করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল কমিশন জানিয়ে দিল তাদের মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ বাতিল হল না দুই প্রার্থীর মনোনয়ন।
কমিশনের তরফে সন্ধ্যায় জানিয়ে দেওয়া হয় হাজি নুরুলের মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়েছে। এরপর কমিশনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় মালা রায়ের মনোনয়নও গ্রহণ করা হয়েছে। মূলত স্ক্রুটিনিতে কোনও গরমিল ধরা না পড়ায় দুটি মনোনয়নই গ্রহণ করল কমিশন। সেক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকল না। তবে এর জেরে স্বস্তি ফিরল তৃণমূলের অন্দরে। কিন্তু স্বস্তি পেল কি বিজেপি?
তবে জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছিলেন, আমাদের বীরভূম কেন্দ্রের প্রার্থী দেবাশিস ধর নো ডিউজ সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ায় তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল হয়েছে। তাহলে বসিরহাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামেরও প্রার্থীপদ বাতিল হওয়া উচিত। তাঁর নো ডিউজ সার্টিফিকেট দেওয়ার শেষ সময় ছিল ১৪ মে বিকেল ৩টে। কিন্তু তার মধ্যে ওই নথি নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে পারেননি তিনি। ফলে ওই কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী রেখা পাত্র তাঁর প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেছিলেন, মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন। যা অফিস অফ প্রফিটের আওতাধীন। ফলে ওই পদে ইস্তফা না দিয়ে লোকসভা ভোটের প্রার্থীপদের জন্য মনোনয়ন দেওয়া যায় না। উনি ওই পদে থাকাকালীন কোনও বেতন না নিলেও তিনি লাভজনক পদে রয়েছেন বলেই বিবেচ্য হবেন। ফলে ওনার প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি করেছেন দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী।
তবে শেষ পর্যন্ত দুজনের মনোনয়নই গ্রহণ করা হয়েছে।