হুগলিতে জমজমাট ভোটের দিন। একদিকে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অন্যদিকে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। সোমবার সকাল থেকেই এলাকায় ঘুরছেন দুজনেই। বিক্ষিপ্ত ঘটনা সকাল থেকেই।
হুগলিতে একটি ভোট দেখতে বেরিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে বুথের ভেতর অন্ধকার দেখে নানা আশঙ্কা করলেন তিনি। রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, সবাই দেখে শুনে ধীরে সুস্থে ভোট দেবেন। কারণ এখানে লাইট দিচ্ছে না। অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে পুরো ঘরটা। ভোটবাক্সের চারপাশটা ঢাকা। ভিতরটা অন্ধকার হয়ে আছে। সবাইকে অনুরোধ করলাম দেখে শুনে আস্তে আস্তে ভোট দেবেন। আলো দেওয়ার কথা হয়েছে। তারপরেও আলো দেওয়া হচ্ছে না। অন্ধকার করে রেখে দেওয়া হয়েছে। ওর ভেতরটা একেবারে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মানুষ পড়তে পারবে না। কার নাম লেখা রয়েছে ইভিএম-এ। যাকেই ভোট দিক দৃষ্টিতে তো আসতে হবে। কাকে তিনি ভোট দিচ্ছেন? বলার পরেও আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। অভিযোগ রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের।
এদিকে এবার ভোট প্রচারে কলকাতা থেকে হুগলিতে এসেই রচনা বলেছিলেন চারদিকে শুধু ধোঁয়া আর ধোঁয়া। আসার পথে তিনি ধোঁয়া দেখতে পেয়েছিলেন। আসলে শিল্পের ধোঁয়ার কথা বলতে গিয়ে তিনি একথা উল্লেখ করেছিলেন। এনিয়ে নানা ধরনের মিম তৈরি হয়েছিল। এবার তিনিই উল্লেখ করলেন অন্ধকারের কথা। সেটাও আবার ভোটের দিন। ভোটের দিন বুথের ভেতর পর্যাপ্ত আলো না দেখেই তিনি এই অভিযোগ করেন। বুথের মধ্য়ে অন্ধকার থাকলে ভালো করে ইভিএম দেখা যায় না বলেও তিনি মনে করেন।
এদিকে গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে লোডশেডিংয়ের সুযোগে গণনায় কারচুপি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছি। এখনও সেকথা উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এনিয়ে নানা সময়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে লোডশেডিংয়ের সুযোগে জিতেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
তবে এবার ভোটের দিন বুথের মধ্য়ে অন্ধকার থাকার অভিযোগ তুললেন রচনা। চারপাশে অন্ধকার আর অন্ধকার। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন ভোটবাক্সের চারপাশটা অন্ধকার। আলোর ব্যবস্থা করার জন্যও তিনি অনুরোধ করেন।
রচনা বলেন, সবাই দেখে শুনে ধীরে সুস্থে ভোট দেবেন। কারণ এখানে লাইট দিচ্ছে না। অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে পুরো ঘরটা। ভোটবাক্সের চারপাশটা ঢাকা। ভিতরটা অন্ধকার হয়ে আছে। সবাইকে অনুরোধ করলাম দেখে শুনে আস্তে আস্তে ভোট দেবেন। আলো দেওয়ার কথা হয়েছে। তারপরেও আলো দেওয়া হচ্ছে না। অন্ধকার করে রেখে দেওয়া হয়েছে। ওর ভেতরটা একেবারে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মানুষ পড়তে পারবে না। কার নাম লেখা রয়েছে ইভিএম-এ। যাকেই ভোট দিক দৃষ্টিতে তো আসতে হবে। কাকে তিনি ভোট দিচ্ছেন?