ষষ্ঠ দফার নির্বাচন শেষ লগ্নে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় আবির খেলায় মাতলেন ঘাটালের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দীপক অধিকারী। দিনভর ছোটাছুটি শেষে ভোটগ্রহণ শেষে দেবের হাসি মুখ দেখা যায়। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি বলে আশা করি।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের জেরেই ছাত্রমৃত্যু ঘটে, কর্মসমিতির বৈঠকে শাস্তিতে সিলমোহর
পড়তে থাকুন: বাংলাদেশের সাংসদের দেহ ৮০ টুকরো করতে কত টাকা মিলেছিল? খুনের তদন্তে নয়া মোড়
দেবের এবার ভোট ময়দানে অবতরণ বেশ নাটকীয়। ভোটের কয়েক মাস আগে গত ফেব্রুয়ারিতে সাংসদ পদাধিকারবলে প্রাপ্ত ৩টি পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহা বিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট পদ এবং বীরসিংহ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন দেব। এর পরই তিনি আর ভোটে লড়বেন কি না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। ১০ ফেব্রুয়ারি পর পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তার পরই জানা যায়, ফের ভোটে লড়তে রাজি হয়েছেন ঘাটালের ২ বারের সাংসদ।
এখানেই শেষ নয়, দেবের সঙ্গে মমতার বৈঠকের পরদিনই তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শংকর দলুইকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
লোকসভা ভোটে ফের ঘাটাল থেকেই দেবকে প্রার্থী করে তৃণমূল। নিজের কেন্দ্র ছাড়াও গোটা রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে রোড শো করেন দেব। ভোটপ্রচারে বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ করেন মমতা। দলনেত্রীর সেই মন্তব্যের প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন দেব। ব্যতিক্রমী ভাবে তার পর থেকে আজ পর্যন্ত দেবের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি দল। দেবও নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করেননি।
আরও পড়ুন: বনকর্মী খুনে ৩ বাংলাদেশি চোরাশিকারি গ্রেফতার, মধু-হরিণের জন্য জলসীমা লঙ্ঘন
ভোট প্রচারে দেবের বিরুদ্ধে একাধিকবার নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। দেবের বিরুদ্ধে একাধিক নথি ও অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করেছেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ঘাটালের গরমাগরম ভোটযুদ্ধে কে জিতবে তা জানা যাবে ৪ জুন।