আগামী রবিবার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ফের বঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বঙ্গে এসে একাধিক লোকসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি পুরুলিয়াতেও সভা করার কথা রয়েছে মোদীর। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল পুরুলিয়ার বলরামপুর বিধানসভার সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রায়বাঘিনী ময়দানে মোদীর জনসভা হবে। কিন্তু, ওই মাঠে সভা করার জন্য ছাড়পত্র দিল না জেলা প্রশাসন। ফলে তার পরিবর্তে মোদীর সভার জন্য অন্য জায়গা নির্বাচন করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: মোদী-অভিষেকের মনোনয়ন জমা দেওয়ার ছবি পাশাপাশি দেখাল বঙ্গ বিজেপি, ফারাকটা দেখুন!
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়বাঘিনী ময়দানটি ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার, রিসিভিং সেন্টারের (ডিসিআরসি) ১০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত। তাই নির্বাচনী বিধি-নিষেধের কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে সেখানে সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গা। এই অবস্থায় তার বদলে পুরুলিয়া বিধানসভার গেঙ্গাড়া ময়দানকে ওই সভার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের কাছে বিড়াই এলাকতেও জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেক্ষেত্রে এই সভাস্থল নিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে কোনও আপত্তি জানানো হয়নি। তবে পুরুলিয়ার বলরামপুর বিধানসভার রায়বাঘিনী ময়দানে সভা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কারণ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই এলাকাতেই দুই বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তা ঘিরে সেই সময় রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছিল।
সেই ঘটনার পরে ২০১৯ সালের লোকসভার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রায়বাঘিনী ময়দানেই সভা করেছিলেন। যদিও সেবার জেলা প্রশাসনের অনুমতি পেতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি। তবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই মাঠে প্রথমে নরেন্দ্র মোদীর সভার অনুমতি দেয়নি জেলা প্রশাসন। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। তবে শেষমেষ সেখানে সভার অনুমতি দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।
অন্যদিকে, বিষ্ণুপুরের শহরের কাছেই অবস্থিত বাঁকুড়া-মেদিনীপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বিড়াই এলাকায় এদিন প্রধানমন্ত্রীর সভার কথা রয়েছে। তারপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভা করার কথা আছে আগামী মঙ্গলবার। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি।
অন্যদিকে, এদিন পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি আছে কি না তা এখনও জানা যায়নি। তবে পুরুলিয়ার ওই মাঠে সভা বাতিলকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের দাবি, এবার বিজেপি অবস্থা খারাপ। তা নেতারা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন। দেওয়ালে ৪০০ পার লিখলেও বিজেপির সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না।