উত্তর দমদম পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে নবজীবন বাজার বিশরপাড়া কাছেই বেশ কয়েকটি বাড়িতে আক্রমণ চালানো হল ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে। জানা গিয়েছে, ভোটের আগের রাতে বিশরপাড়ায় এসে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন দুষ্কৃতী মুখ ঢেকে সিপিএম কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে আক্রমণ চালায়। বাম সমর্থকদের উদ্দেশে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। তারা যাতে ভোট দিতে না যায়, তার জন্যে হুমকি দিয়ে যায়। পাশাপাশি যে সকল সিপিএম কর্মী ভোটে এজেন্টের কাজ করবেন তাঁদেরকেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। (আরও পড়ুন: WB Lok Sabha Election 7th Phase LIVE: রাত থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়, ভোটের দিন সকালেও অশান্তি, রাস্তায় পড়ে তাজা বোমা)
এলাকার বাম কর্মীদের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে শান্ত পাড়াকে অশান্ত করছে। বাম কর্মীদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে বলে এসেছে, যদি কেউ ভোট দিতে যায় এবং এজেন্ট হিসেবে বুথে বসে তাহলে ভোটের পরে তাঁদেরকে 'দেখে নেওয়া হবে'। এদিকে বাম কর্মীদের ওপর হামলার খবর পাওয়ার পরই রাতে সেখানে পৌঁছে যান দমদম লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। তিনি আক্রান্ত কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে যান এবং তাঁদেরকে আশ্বস্ত করেন।
এদিকে আক্রান্ত বাম কর্মীদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে বাইক নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল এলাকা থেকে। তখন পুলিশকে বলা হলেও বাইক বাহিনীকে আটকানোর কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। এই আবহে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখা যায় এলাকাবাসীদের মধ্যে। পরবর্তীকালে বেশ কিছু পুলিশকর্মী আসেন ঘটনাস্থলে। এই ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'তৃণমূল বুঝেছে তাঁদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তাই রাতে অন্ধকারে দুষ্কৃতী দিয়ে বাড়ি বাড়ি আক্রমণ করাচ্ছে। যাতে সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট না দিতে পারে, সেই চেষ্টা করছে তৃণমূল। তবে এতে কোনও লাভ হবে না। মানুষ সঙ্গবদ্ধ ভাবে ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং ভোটদান করবে। যদি আবার কোথাও এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমি আমার বাকি সব কাজ ফেলে সেই অঞ্চলে যাব। এবং ওই এলাকার সমস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াব।' এদিকে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে সুজন চক্রবর্তী পরে কথা বলেন। স্থানীয় বামকর্মীদের সঙ্গে করে হামলার অভিযোগ জানানো হয়। পরে থানাতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় এই ঘটনায়।