ঝাড়খণ্ড রাজ্যটি ২০০০ সালে বিহার থেকে পৃথক হয়ে গিয়ে গঠিত হয়েছিল। পূর্বে এটি দক্ষিণ বিহার বলে পরিচিত ছিল। ঝাড়খণ্ড নামক নতুন রাজ্যটি গঠিত হওয়ার পর মোট চারবার লোকসভা নির্বাচন হয়ে গেছে দেশে। ২০০৪, ২০০৯, ২০১৪, ২০১৯ এরপর আগামী লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে চলতি বছরেই অর্থাৎ ২০২৪ সালে। ঝাড়খণ্ড রাজ্যে এবারের লোকসভা নির্বাচন চারটি ধাপে সম্পন্ন হচ্ছে। শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ পর্ব হবে পয়লা জুনে। ঐদিন রাজমহল, দুমকা এবং গদ্দা লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোটগ্রহণ হবে।
দুমকা লোকসভা কেন্দ্রটি ছয়টি বিধানসভা নিয়ে গঠিত। কেন্দ্রগুলি হল দুমকা, জামা, সারাথ, শিকারিপারা, নালা এবং জামতারা। ডুমকা লোকসভা কেন্দ্রে ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে শিবু সোরেন ৫৪.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন। প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী সোন লাল হেমব্রম ১১৫০১৫ টি ভোটের ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে গিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। ২০০৯ সালের নির্বাচনে শিবু সোরেন পুনরায় সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৮৮১২ টি ভোটের ব্যবধানে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীর সুনীল সরিনকে হারিয়ে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও শিবু সোরেন বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি পেয়েছিলেন ৩৭.৭ শতাংশ ভোট আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রার্থী বিজেপির সুনীল সোরেন পেয়েছিলেন ৩২.৯ শতাংশ ভোট। ২০১৯ সালে প্রথমবারের জন্য বিজেপির প্রার্থী এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। সুনীল সোরেন এবারে ভোট পেয়েছিলেন প্রায় ৪৭.৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রার্থী শিবু সোরেন। তিনি ৪৭৫৯০ ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়ে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলেন।
এক নজরে দেখে নেয়া যাক দুমকা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা গুলির শেষ বিধানসভা ভোটের ফলাফল। ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে ছটি বিধানসভার মধ্যে চারটি কেন্দ্রে যেতে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রার্থীরা। সেগুলি হল দুমকা, জামা, শিকারিপারা এবং নালা। সারাথ বিধানসভাটি পায় বিজেপি এবং কংগ্রেস যেতে জামতারায়। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে ৮১ টি আসনের মধ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ৩০ টি আসন পেয়ে প্রথম স্থানে ছিল, ২৫ টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি এবং কংগ্রেস ছিল তৃতীয় স্থানে ১৬ টি আসন পেয়ে। কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জোট বেঁধে রাজ্য সরকার গঠন করেছিল। এবারের নির্বাচনে দুমকা কেন্দ্র থেকে বিজেপির পক্ষ থেকে সুনীল সোরেন ও জেএমএম-এর পক্ষ থেকে নলিন সোরেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।