সোশ্য়াল মিডিয়া হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ দাবি করেছিলেন যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভোট গণনার আগে অন্তত ১৫০জন জেলাশাসককে ফোন করেছিলেন। এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। তবে এবার নির্বাচন কমিশন এনিয়ে বিরাট পদক্ষেপ নিল। নির্বাচন কমিশন এনিয়ে বস্তুগত তথ্য় চেয়েছেন ও কংগ্রেস নেতার জয়রাম রমেশের কাছ থেকে এনিয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে চেয়েছেন।
২রা জুনের মধ্য়ে কমিশন তাঁর কাছ থেকে জবাব চেয়েছে। তার ভিত্তিতেই এবার পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। এএনআই সূত্রে খবর।
মূলত কীসের ভিত্তিতে এই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে সেটাই জানতে চাইছে কমিশন। এবার জয়রাম রমেশের কাছ থেকে এনিয়ে জানার পরে কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাও জানার। তবে কমিশন যে গোটা বিষয়টি যে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সেটাও বোঝা যাচ্ছে।
কিন্তু জয়রাম রমেশ ঠিক কী লিখেছিলেন এক্স হ্যান্ডেলে?
জয়রাম রমেশ লিখেছিলেন, বিদায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সমস্ত জেলাশাসক তথা কালেক্টরদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তিনি এখনও পর্যন্ত ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এটার মাধ্য়মে দেখা যাচ্ছে বিজেপি কতটা বেপরোয়া হতে পারে। এটা খুব পরিস্কার যে মানুষের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ হবে। ৪ঠা জুন মিস্টার মোদী, মিস্টার শাহ আর বিজেপিকে বিদায় নিতে হবে। আর ইন্ডিয়া জোট জিতবে। অফিসারদের চাপে থাকার কোনও দরকার নেই। তাঁরা সংবিধানকে উপরে তুলে ধরুন। তাঁদের নজরে রাখা হয়েছে। জানিয়েছেন জয়রাম রমেশ।
এই পোস্টকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। কীসের ভিত্তিতে জয়রাম রমেশ এই ধরনের পোস্ট করেছিলেন তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে যায়।
এদিকে জয়রাম রমেশকে লেখা চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, ভোটগণনা করা প্রতি রিটার্নিং অফিসারের পবিত্র কর্তব্য। কিন্তু সেক্ষেত্রে এই ধরনের মন্তব্য কোনও রাজনৈতিক ও অভিজ্ঞ নেতার করাটা একটা সন্দেহের জন্ম দেয়। এটা বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থে প্রকাশ্যে বলা দরকার। কিন্তু কোনও ডিএম এখনও পর্যন্ত কোনও চাপ আসছে বলে জানাননি। ইসি এনিয়ে নির্দিষ্ট তথ্য় চেয়েছে জয়রাম রমেশের কাছ থেকে। অমিত শাহ কাদেরকে প্রভাবিত করছেন সেই সংক্রান্ত তথ্য় চাওয়া হয়েছে জয়রাম রমেশের কাছ থেকে। যেটাকে সত্যি বলে মনে করছেন জয়রাম। সেক্ষেত্রে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়রাম রমেশের কাছে চাওয়া হয়েছে।