নির্বাচন পরিচালনায় অযথা হস্তক্ষেপের জন্য ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত সিনিয়র আইপিএস অফিসার ডিএস কুট্টেকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন এবং আরেক আইপিএস অফিসার আশিস সিংকে একই অভিযোগে এইমসের ডিরেক্টর দ্বারা গঠিত বিশেষ মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে বিস্তারিত মেডিকেল পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস অনুসারে খবর।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বলা হয়েছে, ১৯৯৭ ব্যাচের আইপিএস তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ সচিব ডিএস কুটেকে নির্বাচন পরিচালনায় অযথা হস্তক্ষেপের জন্য প্রাসঙ্গিক পরিষেবা বিধির আওতায় সাসপেন্ড করা হবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কুট্টির সদর দফতর ওড়িশার রেসিডেন্ট কমিশনারের অফিসে স্থির করা হয়েছে, যেখানে তাকে ২৯ মে বিকেলের মধ্যে রিপোর্ট করতে হবে। নির্দেশে বলা হয়েছে, 'ওড়িশার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কুটেকে চার্জশিটের খসড়া সরবরাহ করবেন এবং ওড়িশার মুখ্যসচিব ৩০ মে বিকেল ৫টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট পরিষেবা বিধি অনুসারে চার্জশিটের ব্যবস্থা করবেন।
২০১০ ব্যাচের আইপিএস আশিস সিং সম্পর্কে কমিশন জানিয়েছে, যেহেতু তিনি ৪ মে থেকে চিকিৎসার ছুটিতে রয়েছেন, তাই তিনি ৩০ মে-র মধ্যে ভুবনেশ্বরের এইমসের ডিরেক্টর দ্বারা গঠিত বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ডের মাধ্যমে বিস্তারিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাজির হবেন।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সমন্বয় করে এইমস ভুবনেশ্বরের ডিরেক্টর যাতে অসুস্থতা নির্ণয়ের জন্য একটি বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে পারেন এবং চিকিৎসা চলছে,' ইসিআইয়ের নির্দেশে বলা হয়েছে।
ইসিআই খোরধা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক প্রার্থী প্রশান্ত জগদেবের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, যাকে সোমবার একটি বুথে ইভিএম ক্ষতিগ্রস্থ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার বিজেপির অভিযোগ, বুথের সিসিটিভি ফুটেজে ইভিএম মেশিন চালানোয় জগদেবের কোনও ভূমিকা না থাকায় তাঁকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত মাসে, বিজেপি কুটের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে বসে বিজু জনতা দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ করেছিল যে অবিলম্বে তার সেলফোন বাজেয়াপ্ত করা উচিত এবং কল ডিটেলস রেকর্ড (সিডিআর) পুনরুদ্ধার করা উচিত। একই অভিযোগে আইজি সেন্ট্রাল রেঞ্জের পদ থেকে বদলি হওয়ার পরেও আশিস সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে নির্বাচন কমিশন ওড়িশার প্রবীণ আমলা সুজাতা আর কার্তিকেয়নকে ওড়িশার মিশন শক্তি বিভাগ থেকে বেসরকারি ডিলিং বিভাগে বদলির নির্দেশ দেয়।
বিজেপির অভিযোগ, মিশন শক্তি বিভাগের মাধ্যমে সুজাতা মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে বাধ্য ও বাধ্য করছেন। সরকারি আর্থিক সুবিধা বন্ধ করার হুমকি দিয়ে এবং এভাবে আসন্ন লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বিজু জনতা দলকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রচার ও প্রভাবিত করার হুমকি দিয়ে। মিশন শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ৭ লক্ষ মহিলা এসএইচজি গোষ্ঠী গত দুটি নির্বাচনে বিজেডির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোট ব্যাংক হয়ে উঠেছে।