আগামী ১ জুন শেষ দফায় ভোট রয়েছে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার ৯ টি কেন্দ্রে। তার আগে সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপারসহ ৩ আধিকারিককে সরিয়ে দিল কমিশন। কেন তাদের সরিয়ে দেওয়া হল সে বিষয়টি কমিশনের তরফে নির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি। তবে আজ বেলা ৩ টের মধ্যে ওই ৩ আধিকারিকের জায়গায় নতুন নামের প্রস্তাব পাঠাতে বলেছে কমিশন।
আরও পড়ুন: ছিল পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ, পুরুল্যার SP-সহ ৪ পুলিশ অফিসারকে বদলির নির্দেশ কমিশনের
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাথ ছাড়াও আরও যে দুজন আধিকারিককে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন মিনাখাঁর এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান এবং উত্তর ২৪ পরগনার রহড়া থানার আইসি দেবাশিস সরকার। যদিও তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার কারণ জানা যায়নি তবে সন্দেশখালি কাণ্ডে আমিনুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের তরফে দুটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তিন পুলিশ আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের কাজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন কোনও পদে তাদের বদলি করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক (বসিরহাট) দিব্যা লোঙ্গানাথনকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পাশপাশি কলকাতা দক্ষিণের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক রশ্মি কামালকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, এই দুই আধিকারিক নির্বাচনী কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট জারি হতেই একের পর এক অনেক আধিকারিককে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও সরানো হয়েছিল। সম্প্রতি সরানো হয়েছে পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিককে।
পুরুলিয়ার আগের এসপি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালনের অভিযোগ পেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এর আগে তিনি যখন ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার ছিলেন সেই সময়েও একই অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তারপরেই নির্বাচনের কাজের সঙ্গে যুক্ত নয় সেরকম একটি পদে তাঁকে বদলি করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কন্টাইয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস, ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক এবং পটাশপুর থানার ওসি রাজ কুণ্ডুকেও সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। পরে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার করা হয় আশিস মৌর্যকে এবং কন্টাইয়ের এসডিপিও হিসেবে আজহারউদ্দিন খানকে নিয়োগ করা হয়।
অন্যদিকে, এর পরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারকেও সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। তাঁকেও নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত নয় এরকম একটি পদে বসানোর নির্দেশ দেয়। আর এবার আরও ৩ জনকে সরিয়ে দিল কমিশন।