সাধু - সন্তদের নিয়ে তাঁর মন্তব্যের জেরে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা বাংলা। এমনকী শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় সন্ন্যাসী মহারাজদের বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় FIR দায়ের করেছে তাঁর পুলিশ। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উলটো সুর। মঙ্গলবার ভোটপ্রচারে বেরিয়ে তিনি বললনে, ‘আমাদের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেব।’
আরও পড়ুন: ‘অশুভ শক্তি’র বিনাশের ডাক দিয়ে খালি পায়ে কলকাতার রাজপথে হাঁটবেন সাধু - সন্ন্যাসীরা
পড়তে থাকুন: দাঙ্গা করিয়েছেন, মসজিদ ভেঙেছেন, কার্তিক মহারাজকে ফের বেলাগাম আক্রমণ মমতার
রবিবার রাতে শিলিগুড়ি লাগোয়া জলপাইগুড়ির শালুগাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের ‘সেবক হাউজ’এ আক্রমণ চালায় প্রায় ৩৫ - ৪০ জন দুষ্কৃতী। তাদের অনেকের হাতেই ধারাল অস্ত্র ও বন্দুক ছিল। সন্ন্যাসীদের নিগ্রহ করে ওই আশ্রমের একাধিক আবাসিককে অপহরণ করে তারা। ঠিক তার আগের দিন আরামবাগের গোঘাটে রামকৃষ্ণ মিশনের কিছু সন্ন্যাসী বিজেপিকে সমর্থন করছে বলে মন্তব্য করেন মমতা।
ওই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। পালটা সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। মঙ্গলবার জানা যায়, রামকৃষ্ণ মিশনের করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে সমস্ত জামিনযোগ্য ধারা প্রয়োগ করেছে পুলিশ, কিন্তু অভিযুক্ত প্রদীপ রায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মহারাজদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছে একের পর এক জামিনঅযোগ্য ধারা।
এই ঘটনা নিয়ে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড় হচ্ছে তখন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে বারাসত কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দোস্তিদারের সমর্থনে এক জনসভা থেকে মমতা বলেন, ‘ঘটনার কথা আমার জানা নেই। আমরা ওসব ঘটনা সমর্থনও করি না। তবে আমাদের কেউ তাতে জড়িত নয়। যদি তদন্তে বেরয় যে আমাদের কেউ এর মধ্যে ছিল, কথা দিচ্ছি, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’
পড়তে থাকুন: মমতার হুমকির পর জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে হামলা হয়েছে, দাবি মোদীর
এই ঘটনা নিয়ে সোমবার রাজ্যো ভোটপ্রচারে এসে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ বাংলার আধ্যাত্মিক পরিচয়। এখানকার মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে এই মহান সংস্থাগুলিকে ধমকাচ্ছেন। আর তাঁর ধমকে তৃণমূলের গুন্ডাদের সাহস বাড়িয়ে দিয়েছে। শুনতে পেলাম, জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে গত রাতে ভাঙচুর হয়েছে। আশ্রমের কর্মচারীদের নিগ্রহ করা হয়েছে। তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বাংলাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল সরকার? কখনও বাংলায় রামকৃষ্ণ মিশনকে হুমকি দেওয়া হবে, আশ্রমে ভাঙচুর হবে, কোনও দেশবাসী কখনও ভেবেছিলেন? কিন্তু নিজের ভোটব্যাঙ্ককে তুষ্ট করতে সব সীমা পার করে গিয়েছে তৃণমূল।’